alleged rapists arrested in kalapara
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তদবির দেয়ার কথা বলে এক গৃহবধূকে উপর্যুপরি ধষর্ন করার ঘটনায় তিন লম্পটকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিন চরপাড়া গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হল মো. শহিদুল মুসুল্লী (৩৫), মালেক হাওলাদার (৫০) ও মো. আলমগীর হোসেন (৩৬)। এদের বাড়ী উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিন চরপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় শনিবার ভিকটিম গৃহবধূ বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের
করেছে। পুলিশ ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভিকটিমের সাথে তার স্বামীর মনোমালিন্য থাকায় সে তার বাবার বাড়ীতে থাকে। একই ফ্লাটে আসামী মালেকের মেয়ে শিল্পি বেগমও থাকে। সেই সুবাদে ধর্ষিতা শিল্পী বেগমকে স্বামীর সাথে অমিল থাকার ঘটনা খুলে বলে।
শিল্পী তার এক পরিচিত হুজুর শহিদুল ইসলাম এসব সমস্যা সমাধান করতে পারেন বলে জানায়। এতে ধর্ষিতা রাজী হওয়ায় ধর্ষক শহিদুল ইসলামকে শিল্পীদের বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং স্বামীর সাথে অমিলের কারন জানায় । এতে শহিদুল সমাধান করার কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবী করে। এসময় ধর্ষিতা ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাকী টাকা পরে পরিশোধ করবে বলে জানায় । তবে তদবির তার গ্রামের বাড়ী কলাপাড়ায় এসে নিতে হবে বলে জানায় ধর্ষক শহিদুল ইসলাম। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার পোস্তগোলা এলাকা থেকে বিজয় এন্টারপ্রাইজের গাড়ীতে কলাপাড়ায় আসে ভিকটিম। এসময় শহিদুল তার বাড়ীতে নিয়ে যায় । ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কৌশলে আসামী মালেকের খালী বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে তার ঘরের দোতলায় উঠিয়ে পর্যায়ক্রমে তিন লম্পট উর্পযুপরি তাকে ধর্ষন করে । পরের দিন ধর্ষিতাকে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হুমকি দিয়ে তদবির দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয় । ৩০
সেপ্টেম্বর ধর্ষিতা কলাপাড়ায় এসে প্রথমে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। পুলিশ ওইদিন রাতেই ধর্ষক তিনজনকে আটক করে।
কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম জানান, আসামী তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে। - গোফরান পলাশ