উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন, পিয়ংইয়ং-এ একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বৈঠক সমাপ্ত করেছেন। এরপরই কিম জং উন তার “প্রতিকূল শক্তির” সামনে তার পারমাণবিক অস্ত্র-সম্ভার দ্বিগুন করতে যাচ্ছেন। ঐ বৈঠকে কর্মকর্তারা, সীমান্তে (ফ্রন্টলাইন) মোতায়েন করা সেনা ইউনিটগুলোর জন্য অনির্দিষ্ট নতুন অপারেশনাল দায়িত্ব অনুমোদন করেছেন।
শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের সদস্যরা, বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া ৩ দিনের বৈঠকে, দেশটির সীমান্তে (ফ্রন্টলাইন) মোতায়েন করা সেনা ইউনিটগুলোর অপারেশনাল দায়িত্বের জন্য একটি “গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্ম পরিকল্পনা” নেয়ার দিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া, তারা তাদের দেশের পারমানবিক যুদ্ধের প্রতিবন্ধকতা দূর করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
উত্তর কোরিয়া ফ্রন্টলাইন ইউনিটগুলোর জন্য ‘নতুন অপারেশনাল ডিউটি’ কি হবে সে বিষয়ে নিদিষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশটি তাদের উত্তেজনাপূর্ণ সীমান্তে প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ কোরিয়াকে লক্ষ করে যুদ্ধক্ষেত্রের উপযোগী পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করার পরিকল্পনা করতে পারে।
ব্রিঙ্কম্যানশিপের (বিপদজনক নীতি গ্রহনের কলা) পুরনো নমুনাকে নাড়িয়ে দিয়ে, উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যেই ২০২২ সালের প্রথমার্ধে, ৩০টি মিসাইল নিক্ষেপ ও ১৮টি উৎক্ষেপন এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশটি রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
সাম্প্রতিক পরীক্ষাগুলোর সময় কিম বারবার বলেছেন যে, হুমকি বা উস্কানি দিলে উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্রগুলো সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি ব্যাপকও ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক হুমকির নীতি, যা প্রতিবেশীদের জন্য আরও বেশি উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।