আফগানিস্তানের স্বায়ত্ত্বশাসিত মানবাধিকার কমিশন (এআইএইচআরসি) বন্ধ করে দেওয়ার তালিবানের সিদ্ধান্ত, দেশটির জন্য এক ব্যাপক অবনমন বলে মনে করছে মানবাধিকার সংস্থা এবং মানবাধিকার রক্ষা কর্মীরা।
মঙ্গলবার তালিবান কর্তৃপক্ষ জানায় যে, ৫০ কোটি ডলারের বার্ষিক বাজেট ঘাটতির কারণে, এআইএইচআরসি এবং অপর চারটি “অপ্রয়োজনীয়” বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন ঘোষণার পরপরই, এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু হয়।
তালিবান সরকারের সহকারী মুখপাত্র, ইন্নামুল্লাহ সামানগানি, রয়টার্সকে বলেন, “যেহেতু এই বিভাগগুলোকে প্রয়োজনীয় মনে করা হয়নি এবং বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তাই সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে, এআইএইচআরসি’র সাবেক উপ-প্রধান, মোহাম্মদ নাইম নাজারি বলেন, তালিবানের থেকে “এর বেশি কিছু আশা করা যায় না”, যাদের কিনা মানবাধিকার রক্ষার খারাপ ইতিহাস রয়েছে।
ভিওএ’র পাশতো সার্ভিসকে তিনি বলেন, “তালিবান নারীদের অধিকারের স্বীকৃতি দেয় না, যারা কিনা মোট জনসংখ্যার অর্ধেক। তারা বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না এবং গণমাধ্যমের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। … তালিবান সংখ্যালঘুদের অধিকারকেও স্বীকৃতি দেয় না।”
তবে, মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই দিয়েছে তালিবান। বিভাগগুলো বন্ধ করে দেওয়াকে তারা বাজেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের ভিত্তিতে বন্ধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে যে, বাজেট শুধুমাত্র সেইসব বিভাগের জন্যেই তৈরি কার হয়েছে, যেগুলো কার্যকর এবং ফলপ্রসূ।
তালিবানের মুখপাত্র সামানগানি আরও বলেন যে, “প্রয়োজন হলে” বিভাগগুলোকে ভবিষ্যতে আবারও চালু করা হতে পারে।
তবে, মানবাধিকার প্রবক্তরা এ বিষয়ে আশাবাদী নন। তাদের অনেকেই মনে করেন মঙ্গলবারের ঘোষণা, মানবাধিকার বিষয়ে দেশটির ২০ বছরের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের পর, সেগুলোর এক মর্মান্তিক পরিণতি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার, মিশেল বাখেলেত এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, “দেশটির স্বায়ত্তশাসিত মানবাধিকার কমিশন বন্ধ করে দেওয়ার তালিবানের সিদ্ধান্তের খবরে আমি হতাশ।” তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।