২১ মে (শনিবার) ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিস নাথালি শুয়্যার্ড, তাঁর জীবনসঙ্গী মি. অর্জান এফ. এলিংভাগ, সুইস এম্বাসিতে কর্মরত, মিস সুজান মুয়েলার, মিস আরিয়ান জোলিয়াট, মিস কোরিন এবং তার পরিবার, মি. টোবায়াস হেলিংগার, মিস জানা, ইউনিভার্সিটি অব উইনিপেগ এর বঙ্গবন্ধু সেন্টার হতে ফেলোশিপ প্রাপ্ত মিস আলুক ফন্টেইন রিচার্ডসন, গবেষক, এবং সাংবাদিকসহ প্রায় ২০-২৫ জন বুদ্ধিজীবী-পেশাজীবীদের একটি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ (সিজিএস) এর উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট ঐতিহাসিক স্হানসমূহ পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন। পাথওয়ে টু জেনোসাইড- (ওয়াকিং মিউজিয়াম-চলমান জাদুঘর) এর আওতাধীন এ কর্মসূচি শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে। ডাকসু সংগ্রহশালা হয়ে বটতলা ঘুরে (যেখানে ২ মার্চ প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলিত হয়) তারা পায়ে হেঁটে ১৯৫ জন শহীদ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারীর তালিকা সংবলিত স্মৃতি চিরন্তন, ব্রিটিশ কাউন্সিল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের জনসভাস্হল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ঘটনা শোনেন।
ওয়াকিং মিউজিয়াম কর্মসূচিতে অতিথিবৃন্দকে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করেন সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ এর তরুণ গবেষকরা। পায়ে হেঁটে একাত্তরের ঘটনাবলী সম্পর্কে অবহিত হওয়ার আগেই, সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ এর কার্যালয় পরিদর্শন করেন অতিথিবৃন্দের দলটি। সেখানেই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য নিয়ে এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষেপে অতিথিদের অবহিত করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ এর পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। বিজ্ঞপ্তি।