Students hold demonstration at Mohipur School
পটুয়াখালী: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে আন্দোলনের মুখে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ব্যর্থ হলে মহিপুর থানা পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের শান্ত করবার চেষ্টা চালায়।
সোমবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম মাইকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে ফিরে যায়।
এর আগে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদত্যাগ চেয়ে ক্লাস বর্জন করে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও এলাকাবাসী তার বিচার দাবি করে মহিপুর বন্দরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এলেও স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করলে পাভেল নামে এক ছাত্রের মাথায় টুপি থাকায় তাকে ক্লাসে টুপি পরে আসতে নিষেধ করেন, অপর এক ক্লাসে মজিবুর রহমান নামের এক শিক্ষককেও অনুরূপ সতর্ক করা হলে শ্রেণি কক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। ক্রমে বিষয়টি বিদ্যালয়ের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিদ্যালয়ের অসন্তোষের বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেলে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ নড়েচড়ে বসে। এরপর সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস বর্জন করে সভাপতির পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে নামে।
এ প্রসঙ্গে সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভুল স্বীকার করে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ক্লাসে স্কুল ড্রেস নিয়ে কথা বলার উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু টুপি প্রসঙ্গে আমার কথা বলটা ঠিক হয়নি।
মহিপুর থানার পরিদর্শক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সভাপতি পদত্যাগের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, খবর পেয়ে বিষয়টি সমাধানে সব মহলের সাথে কথা বলেছি এবং সব কিছু এখন স্বাভাবিক রয়েছে। - গোফরান পলাশ