Garbage dumped on side of tourist passages in Kuakata.
পটুয়াখালী: কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে লেম্বুরবনে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার আধা-কিলোমিটারের দু'পাশ জুড়ে পৌরসভার ফালানো বর্জ্য-পলিথিনে সয়লাব পুরো এলাকা।
কুয়াকাটা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের শরীফপুরে সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন একটি খোলা জায়গায় দীর্ঘদিন যাবৎ পৌরসভার সকল বর্জ্য ফেলার কারনে পুরো এলাকা বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাথে সাথে বাসা বাড়িতে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
পৌরসভার স্থায়ী কোনো ডাম্পিং স্থান না থাকায় বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য অপসারণ করার কারনে একদিকে যেমন পর্যটকরা অতিষ্ঠ হচ্ছে অন্যদিকে আশেপাশের শিশু-বৃদ্ধদের মধ্যে বাড়ছে অসুস্থতা।
স্থানীয়রা জানায়, কুয়াকাটা পৌরসভার ময়লার গাড়ি প্রতিদিন রাস্তার দু'পাশের বাসাবাড়ির বর্জ্য, হোটেলের বর্জ্য, পলিথিন, এমনকি মারা যাওয়া কুকুর, বিড়ালও মাটিচাপা না দিয়ে ফেলে রাখা হয় ওখানে। বারবার এলাকবাসীর সমস্যার কথা জানিয়ে নিষেধ করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না পৌর কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় বাসিন্দা শরীফ বলেন, পৌরসভার এই ময়লাগুলোকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখার কারনে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে আশেপাশের বাসাবাড়িগুলোতে থাকতে পারছি না। পলিথিন জমার কারনে কোনো গাছপালা হচ্ছে না, মেহমান এসে একটু সময় বাড়িতে বসারমত সুযোগ নেই এত দুর্গন্ধ। অন্যদিকে ছোট-ছোট বাচ্চাদের কাশিসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। আমরা এর দ্রুত অপসারণ চাই।
রশিদ কমান্ডার নামের এক ভ্যান ড্রাইভার বলেন, এখানে ময়লাগুলো পোড়ার কারনে আশেপাশের সব গাছগুলো মারা যাচ্ছে। পর্যটকরা এখান থেকে যেতে পারছে না দুর্গন্ধের কারনে। পুরো এলাকাজুড়ে খুব খারাপ অবস্থা।
পৌরসভা কর্তৃক ময়লা পোড়ানোর দায়িত্বে থাকা ফারুক হোসেন জানান, ময়লার গাড়ি আসলে আমি পরিস্কার করে এখানে ফেলে দিয়ে পেট্রোল দিয়ে পোড়াই। সকল আবাসিক হোটেলের ময়লা, পলিথিন ও পশুপাখি মারা গেলে তাও এখানে নিয়ে আসা হয়। সবকিছুই এখানে আশেপাশে ফেলে রাখা হয় কোনোকিছু মাটিচাপা দেয়া হয় না।
এব্যাপারে কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরে কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমন কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই বড়-বড় শহরের চেয়েও বেশী বর্জ্য তৈরি হয় এখানে। কিন্তু ময়লা ফালানোর ডাম্পিং স্থান না থাকার কারনে একটু সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছি। তবে আমরা আগামি এক বছরের মধ্যে আশা করি বর্জ্য ফালানোর জন্য নিরাপদ ডাম্পিংয়ের স্থান হয়ে যাবে। - গোফরান পলাশ