নিউ ইয়র্ক রাজ্যের চৌটাকুয়া কাউন্টি আদালতে একটি গ্র্যান্ড জুরি গত সপ্তাহে লেখক সালমান রুশদির ওপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত ২৪ বছর বয়সী ব্যক্তির বিচার শুরু করেছে।
হাদি মাতার সেকেন্ড-ডিগ্রি খুনের চেষ্টা এবং সেকেন্ড-ডিগ্রি হামলার অভিযোগে নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করেন এবং জামিন ছাড়াই তিনি বন্দী ছিলেন।
শুক্রবার বাফেলো শহরের বাইরে চৌটাকুয়ায় একটি বক্তৃতা হলে বক্তৃতা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময় তিনি হামলার শিকার হন। তার ঘাড় ও ঘাড়ের নীচে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচার করা হয়। তার এজেন্ট বলেছেন, তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, একটি বাহুতে স্নায়ু বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং তিনি একটি চোখ হারাতে পারেন, তবে এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মাতারকে আটক করেছে। তার জামিন নামঞ্জুর করে চৌটাকুয়া কাউন্টি কারাগারে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে।
বুধবার নিউইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত জেলখানার একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে রুশদির বেঁচে থাকার কথা শুনে মাতার বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, তিনি ভাবেননি যে রুশদি বেঁচে থাকবেন।
দ্য পোস্ট রিপোর্ট করেছে যে, মাতারের আইনজীবীর পরামর্শ অনুসারে, মাতার রুশদির ১৯৮৮ সালের বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’ প্রকাশিত হবার পর লেখকের মৃত্যুর আহ্বান জানিয়ে জারি হওয়া ইরানি ফতোয়া- বা ধর্মীয় আদেশ- দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন কিনা, সে সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।
ইরানের প্রয়াত সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি ১৯৮৯ সালে রুশদির মৃত্যুর আহ্বান জানিয়ে একটি ফতোয়া জারি করেছিলেন। মাতার বলেছেন, তিনি মরহুম আয়াতুল্লাহকে সম্মান করেন। মাতার তাকে একজন মহান ব্যক্তি বলে অভিহিত করেন। তিনি আরও বলেন, তিনি রুশদির বইয়ের মাত্র কয়েক পৃষ্ঠা পড়েছিলেন।
এই সপ্তাহে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক রুশদির ওপর সংঘটিত হামলা বা হামলায় অভিযুক্তের সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।