রাশিয়া সোমবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে , ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চলীয় ক্রেমেনচুক শহরের একটি বিপণী কেন্দ্রে আঘাত হেনেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতের সংখ্যা "কল্পনা করাও অসম্ভব।"
জেলেন্সকি বলেন, হামলার সময় শপিং সেন্টারে এক হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোক ছিল এবং সেখানে আগুন লেগেছ যায়। প্রাথমিক রিপোর্টে দুইজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউক্রেনের নেতা এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, রাজধানী কিয়েভ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের একটি শহরে অবস্থিত ওই বিপণী কেন্দ্রটি "রাশিয়ান সেনাবাহিনীর জন্য কোন বিপদের স্থান ছিল না , এমনকি কোন কৌশলগত গুরুত্বও ছিল না।"
তিনি বলেন, ক্রেতারা কেবলমাত্র "স্বাভাবিক জীবনযাপন করার চেষ্টা করছিল আর সেটাই রুশদের ক্ষু্ব্ধ করেছে।"
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, "আজকে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিশ্ব আতঙ্কিত। ইউক্রেনের জনাকীর্ণ শপিং মলে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করার ঘটনাটি - নৃশংসতার সর্বসাম্প্রতিক উদাহরণ। আমরা আমাদের ইউক্রেনীয় অংশীদারদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব এবং নৃশংসতার জন্য যারা দায়ী তারা সহ রাশিয়াকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব।"
এদিকে, মাদ্রিদে মঙ্গলবার শুরু হওয়া নেটো শীর্ষ সম্মেলনের আগে, জোট প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক জোট সর্বোচ্চ সতর্কতায় তার সৈন্য সংখ্যা সাতগুণ, অর্থাৎ ৪০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০-এর বেশি বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করছে।
স্টলটেনবার্গ বলেন, রাশিয়া "সংলাপের পরিবর্তে সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। আমরা এর জন্য দুঃখিত - তবে অবশ্যই, আমাদের এই বাস্তবতার জবাব দিতে হবে।”
তিনি বলেন নেটো “আমাদের সম্মুখ সারির প্রতিরক্ষা আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া আমরা জোটের পূর্বাঞ্চলে আমাদের সৈন্যদলকে ব্রিগেড স্তর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেব।" তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।