তাইওয়ান ইস্যুতে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের বিবৃতির পরে বাংলাদেশও একই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ চায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সর্বোচ্চ সংযম। উত্তেজনা বাড়াতে পারে, এ অঞ্চল এবং এর বাইরে শান্তি-স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে, এমন কোনো কাজ থেকে সংশ্লিষ্টদের বিরত থাকার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশের সমর্থন চেয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ এক-চীন নীতি মেনে চলবে, তাইওয়ান প্রশ্নে চীনের ন্যায্য এবং ন্যায্য অবস্থান বুঝতেও সমর্থন করবে। আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি রক্ষায় চীনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে। এক-চীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতা এর দৃঢ় বিরোধিতাকে অত্যন্ত প্রশংসা করে। এরপরই ঢাকা বিবৃতি দেয়। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) তাইওয়ান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে ঢাকা বলেছে, বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতির প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে। একইসঙ্গে জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী এবং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তাদের মতপার্থক্য নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে আহ্বান জানায়।
তাইওয়ান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানায় বাংলাদেশ।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা চলছে। কড়া হুঁশিয়ারির পরও গত ২ আগস্ট তাইওয়ানে সফরে যান যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রতিনিধি। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।