চন্দ্র নববর্ষ উপলক্ষে পুরো চীনজুড়ে এখন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। নানা বর্ণিল আয়োজনে সেজেছে দেশটির শহরগুলো। চীনা চন্দ্র নববর্ষ বা বসন্ত উৎসব চলাকালীন দিনব্যাপী জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে চীনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন লেই ফাং ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার এসোসিয়েশন।
"জনকল্যাণ কাজের কোন সীমানা নেই" এই থিম নিয়ে বুধবার (১৮ জানুয়ারী) দিনব্যাপী সংগঠনের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম চীনের চিয়াংশি প্রদেশের নানছাং শহরে অবস্থিত লোটাস পাবলিক লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত হয়। স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫ জনের বেশি বিদেশি ও চীনা শিক্ষার্থীরা কার্যক্রমে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে কমিউনিস্ট যুব লীগের চিয়াংশি প্রাদেশিক কমিটি, চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স এর লেই ফাং ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং লোটাস পাবলিক লাইব্রেরি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চিয়াংশি ইউনিভার্সিটি অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স এর ওভারসিজ এডুকেশন স্কুলের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর প্যান ইং, বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং লেই ফাং ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোহাম্মদ ছাইয়েদুল ইসলাম, লোটাস পাবলিক লাইব্রেরি এর কর্মকর্তা শিয়া ছিয়ানরু।
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীরা চীনা নববর্ষ উপলক্ষে উষ্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমৃদ্ধ চীনা জাতির মানবতাবাদী আকর্ষণকে পুরোপুরি অনুভব করতে পেরেছে।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবকরা লোটাস পাবলিক লাইব্রেরি ভিতরে এবং বাইরে জনকল্যাণমূলক পরিষেবা দিয়েছে। জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের সময় স্বেচ্ছাসেবকরা লাইব্রেরির ভেতরে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, লাইব্রেরিতে বইগুলোকে সাজিয়ে রাখা, ফুল ও গাছের যত্ন নেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে এবং তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে লেই ফাং এর চেতনা অনুশীলন করেছিল।
জনকল্যাণমূলক পরিষেবার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবকরা ঐতিহ্যবাহী চীনা নববর্ষের অভিজ্ঞতা অর্জন করে। তারা চাইনিজ নববর্ষ উদযাপনের জন্য ডাম্পলিং তৈরি, চাইনিজ ক্যালিগ্রাফি সহ আন্তঃসাংস্কৃতিক বিনিময় সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।