মিয়ানমারে আটক একজন জাপানি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিবাসন লঙ্ঘন এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে উৎসাহিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন জান্তা এ সংবাদ জানিয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গত বছর তাদের অভ্যুত্থানের পর থেকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, দেশ বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত হওয়ার অভিযোগে সাংবাদিক ও ক্যামেরা পার্সনদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি সম্প্রচার লাইসেন্স প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এক বিবৃতিতে জান্তা বলেছে, গত সপ্তাহে ইয়াঙ্গুনে একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করার সময় তরু কুবোটাকে “৫০৫ (এ) ধারা এবং অভিবাসন আইন ১৩-১ এর অধীনে অভিযুক্ত করে” বন্দি করা হয়েছে।
৫০৫(এ)- এমন একটি আইন যা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে উৎসাহিতকারীকে অপরাধী করে এবং সর্বোচ্চ ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং এই আইন ভিন্নমতের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে।
অভিবাসন আইন ১৩-১ ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল হতে পারে।
ইয়াঙ্গুনে সরকার বিরোধী সমাবেশের কাছ থেকে মিয়ানমারের দুইজন নাগরিকের সঙ্গে ২৬ বছর বয়সী চলচ্চিত্র নির্মাতা কুবোতাকে আটক করা হয়েছে।
ফিল্মফ্রিওয়ের একটি প্রোফাইল অনুসারে, কুবোটা এর আগে মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু এবং “মিয়ানমার শরণার্থী ও জাতিগত সমস্যা” নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন।
বুধবার টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে তার বন্ধু ইয়োশিতাকা নিত্তা বলেন, কুবোটা ১৪ জুলাই মিয়ানমারের পৌঁছেছিলেন এবং “মিয়ানমারের একজন ব্যক্তিকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র” চিত্রায়ন করছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক নাথান মং এবং ড্যানি ফেনস্টার, পোল্যান্ডের রবার্ট বোসিয়াগা এবং জাপানের ইউকি কিতাজুমির পর তিনি মিয়ানমারে আটক পঞ্চম বিদেশী সাংবাদিক। এদের সবাইকে পরবর্তী সময়ে মুক্তি দেয়া হয়েছিল এবং তাদের নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।