বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, সোমবার মেডিকেল পণ্যবাহী একটি বিমান সিরিয়ার দামেশকে অবতরণ করেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়াতে ভয়াবহ কলেরার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করার জন্য এসব উপকরণ পাঠানো হয়েছে এবং শিগগির আরও একটি বিমান সেখানে পৌছাবে।
ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক আহমেদ-আল-মান্ধারি দামেশক সফরকালে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) এক সাক্ষাৎকারে জানান, সিরিয়ার স্বাস্থ্য কতৃপক্ষ রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার জন্য এই আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করছে।
তিনি বলেন, ‘এটি সিরিয়া, এই অঞ্চল, প্রতিবেশী দেশ ও সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি হুমকি।’
সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু ও ২০০ জন কলেরায় আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। ২০১১ সালের মার্চে সংঘর্ষ দেখা দেওয়ার পর এবারই প্রথম এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিল।
জাতিসংঘ ও সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, খুব সম্ভবত ইউফ্রেতিস নদী থেকে অনিরাপদ পানি পান ও শস্য খেতে সেচ দেওয়ার জন্য দূষিত পানির ব্যবহারের কারণে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
তিনি নিশ্চিত করেন, সোমবার ডব্লিউএইচও’র সমর্থনে ৩০ টন রসদসহ একটি বিমান সিরিয়া পৌঁছেছে। আল-মান্ধারি জানান, এই পণ্যগুলো আঞ্চলিক প্রয়োজন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনপুষ্ট কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অধীনস্থ ভূখণ্ড ও বিদ্রোহীদের দখলে থাকা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ভূখণ্ডে সমভাবে বণ্টন করা হবে।
তিনি জানান, বুধবার একই ধরনের পণ্যবাহী আরেকটি বিমান আসার কথা রয়েছে।
এমন এক সময় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে যখন ১১ বছরের সংঘাতে সিরিয়ার স্বাস্থ্যসেবা খাতের পরিস্থিতি খুবই নাজুক। এই সংঘর্ষে হাজারো মানুষ নিহত, ১০ লাখেরও বেশি আহত ও দেশের যুদ্ধ-পূর্ববর্তী জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
মান্ধারি জানান, দেশটির ৫৫ শতাংশ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র একেবারেই অকার্যকর ও হাসপাতালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্রায়ই বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে কার্যকর থাকে।
আল-মান্ধারি এর আগে জানিয়েছিলেন, সিরিয়ার ১৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী (২৫ লাখ মানুষ) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১টি ডোজ পেয়েছেন।
সিরিয়ার ১৩ শতাংশ বাসিন্দা ২ ডোজ টিকা পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।