ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি এ্যাড. বদরুদ্দোজা সুজা ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রণীত আইন নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি জনগণের পুনঃআস্থা ফিরিয়ে আনতে অক্ষম। প্রয়াত মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের গৃহীত সার্চ কমিটির মনোনয়নের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের রাজনৈতিক কৃষ্টিটি আইনে রূপান্তর করা ছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আগ্রহ তৈরি হতে পারে এরকম কিছু আইনে নেই।
নির্বাচন থেকে জনগণের ঔদাসীন্নতা ফেরানোর মত কোন নতুনত্ব না থাকাই ইসি গঠন আইনের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। তাছাড়া কমিশনের ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট না করা, প্রশাসনের প্রতি কমিশনের নির্ভরতা কমানোর উপায়, নির্বাচন কালীন সময়ে সরকার-প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন সমন্বয়ের বিধিমালা ইত্যাদি বিষয়ে আইনে কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। প্রশ্নবিদ্ধ সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইতিপূর্বে গঠিত দুইটি বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনের হতাশাজনক কার্যক্রম, উৎসবমুখর নির্বাচনকে আজ আতঙ্ক, অবিশ্বাস, প্রতারণা আর প্রহসনে রূপান্তর করেছে। ইতিমধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটিতে এমন একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যিনি একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র নিয়েছেন, তারপরও নিজেকে নিরপেক্ষ দাবী করছেন। সার্চ কমিটির সদস্য হিসাবে তিনি ও তার সহকর্মীরা এরকম বিশেষ বিশেষ দলের সমর্থক অথচ নিরপেক্ষ দাবীকারী ব্যক্তিবর্গের নামই নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগের জন্য উপস্থাপন করবেন বলে জনগণ সন্দেহ পোষণ করে যা সার্চ কমিটিকে শুরুতেই বিতর্কিত করে ফেলেছে। বিতর্কিত সার্চ কমিটি বিতর্কমুক্ত নির্বাচন কমিশন উপহার দেবে একথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ভবিষ্যতের সার্চ কমিটি গুলোও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবমুক্ত থাকবে, রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে এরকম পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সবশেষে নির্বাচন ও গণতন্ত্র সম্পর্কে জনগণের আগ্রহ ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কালীন সরকার ব্যবস্থার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন মুসলিম লীগ নেতৃদ্বয়। - প্রেস বিজ্ঞপ্তি