Slums in Dhaka City are the destinations of environmental migrants in Bangladesh.
জেনেভা, ২৩ ফেব্রুয়ারি: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুতি রোধের জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা প্যারিস চুক্তি ও সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক এর পূর্ণ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম। তিনি গতকাল জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন কর্তৃক আয়োজিত ‘জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতি নেক্সাস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রদত্ত বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)-এর আওতায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন। ওয়েবিনারে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষের বাস্তুচ্যুতিসহ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যান্য অভিঘাত মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য করণীয়সমূহ তুলে ধরা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ দ্বিতীয় মেয়াদে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা ৫৫টি দেশের এ ফোরামের সভাপতিত্ব করছে।
বাংলাদেশকে চরম জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশ হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক কার্যক্রম তরান্বিত না করলে বিপুল সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে এবং অভিবাসী হিসেবে স্থানান্তরিত হবে। এসময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কার্যক্রমসমূহ তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অতি ঝুঁকিতে থাকা দেশসমূহের জন্য অভিবাসন একটি অভিযোজন মাধ্যম।
প্রধান নিঃসরণকারী দেশসমূহকে জরুরিভিত্তিতে প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভিবাসী হওয়া মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশসমূহকে প্রয়োজনীয় অর্থ ও প্রযুক্তি সহযোগিতা প্রদানের ওপর তিনি জোর দেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার মহাপরিচালক এন্তোনিও ভিটোরিনো, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপো গ্রান্ডি, ফ্রান্স, মিশর, জার্মানি ও ঘানার রাষ্ট্রদূতগণ এবং অন্যান্য অংশীজন প্রতিনিধিবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এতে সঞ্চালনা করেন। - তথ্যবিবরণী নম্বর: ৭২৩