রাহো আলী তার ৪ সন্তানকে নিয়ে সোমালিয়া থেকে কেনিয়ার উত্তর সীমান্তের শহর দাবআবে জাতিসংঘের শরণার্থী হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) ট্রানজিট অঞ্চলে পৌঁছেছেন।
৭ সন্তানের জননী ৪৫ বছর বয়সী রাহো জানান, সোমালিয়ার ভয়াবহ খরার কারণে তিনি পালিয়ে এসে কেনিয়ায় আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই ভয়ংকর যাত্রার সময় এক পর্যায়ে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। সে সময় তিনি তার ৩ সন্তানকে হারিয়ে ফেলেন। তিনি এখনো তাদেরকে খুঁজে পাননি।
এই খরার কারণে রাহো আলীর মতো আরও হাজার হাজার মানুষ কেনিয়ার শরণার্থী শিবিরগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন।
কেনিয়ার সরকার সোমালিয়ার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের সীমান্তে নতুন শরণার্থী নিবন্ধনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তবে ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে তারা ৮০ হাজার নবাগত শরণার্থীর তথ্য সংগ্রহ করেছে। ত্রাণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, অত্যধিক শরণার্থী আগমনে তাদের সহায়তা দেওয়ার সক্ষমতার ওপর বাড়তি চাপ পড়েছে।
দাবআবে ইউএনএইচসিআরের প্রধান গাই আভোগনন বলেন, নতুন শরণার্থীদের ঢেউ “আমাদের কাজের পরিধি অনেক বাড়িয়েছে। এতে আমাদের রসদের ওপর চাপ পড়েছে, কারণ এ মুহূর্তে এই কর্মসূচী দাতাদের কাছ থেকে খুব একটা মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছে না। এ কারণে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ন্যুনতম সহায়তা দিতে বাধ্য হচ্ছি।”
টানা ৫ বছর ধরে বর্ষাকালে যথেষ্ট পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ায় আশংকা করা হচ্ছে, আফ্রিকার শিং নামে পরিচিত এই দেশটির খরা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। সোমালিয়ার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ায় ধারণা করা যাচ্ছে, শিবিরগুলোতে শরণার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে।
মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই সংকটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে কমতে থাকা মনোযোগের বিষয়টি নিয়ে তারা শংকায় আছেন। তারা আরও ত্রাণের আর্জি জানিয়েছেন। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।