রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর শীর্ষ কয়েকজন নেতার নানা মন্তব্য ও কর্মকাণ্ডে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি। বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, সর্বশেষ সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে দলটির শীর্ষ দুই নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ছাত্রদের এই দলটি।
এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন তো বটেই সাধারণ নাগরিকদের অনেককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের নেতিবাচক মন্তব্যও করতে দেখা গেছে।
এই দুই নেতার বাইরেও সম্প্রতি মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদেরও কিছু বক্তব্য নিয়েও দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বেশ অসন্তোষ রয়েছে।
দু'দিন আগে এসব বিষয় নিয়ে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে হাসনাত, সারজিসসহ কোন কোন নেতার কর্মকাণ্ড ও বিভিন্ন মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নও তোলেন কেউ কেউ।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির দুই শতাধিক নেতা নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। সেখানে গত কয়েকদিনে শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার এ সব কর্মকাণ্ড নিয়ে দলের মধ্যেই সমালোচনা চলছে বলে প্রথম সারির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন বিবিসি বাংলাকে।
নাম গোপন রাখার শর্তে দলের শীর্ষ একজন নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেন, "হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের ব্যক্তিগত পরিচিতি ও ফেসবুকে ফ্যান, ফলোয়ার থাকার কারণে তারা নিজেদেরকে অনেকটা দলের ঊর্ধ্বে মনে করেন"।
জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের কোনো কোনো নেতার আর্থিক অস্বচ্ছতা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠছে দলের মধ্যে।
সোমবার শতাধিক গাড়িবহর ও ব্যান্ড পার্টি নিয়ে নিজ জেলা পঞ্চগড়ে শোডাউন করেছেন উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলম।
এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা সমালোচনা দেখা গেছে।
এই বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সারজিস আলমকে উদ্দেশ্য করে একটি খোলা চিঠি লিখেন।
এতে সারজিসের এই আয়োজনে অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মিস জারা।
নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "জনমনে অস্বস্তি তৈরি হলে তাতে দলের ভেতরেও অস্বস্তি দেখা যায়। জনগণের প্রত্যাশা পূরণের ভবিষ্যতে যেন এসবের পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিবো আমরা"।
সেনাবাহিনী নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা তৈরির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত দুই দিনে 'সেনা শাসন, জরুরি অবস্থা জারি'র মতো একের পর এক গুজবও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুরুতেই জাতীয় নাগরিক পার্টিকে এক ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
'ক্যান্টনমেন্টে বৈঠক নিয়ে যে সব প্রশ্ন'
গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেন, 'ক্যান্টনমেন্ট থেকে' আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সেখানে বিষয়টিকে তিনি "রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ" নামে "নতুন একটি ষড়যন্ত্র" হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তার ওই ওই স্ট্যাটাস ঘিরে নতুন আলোচনার সৃষ্টি হয় বাংলাদেশের রাজনীতিতে। ওই ফেসবুক পোস্টের পরদিনই কেউ কেউ হাসনাত আব্দুল্লাহর পক্ষ নিয়ে রাস্তায় মিছিলেও নামেন।
দুইদিন পর গত রোববার হাসনাত আব্দুল্লাহ'র বক্তব্যের ভাষা নিয়ে কিছুটা দ্বিমত পোষণ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি লিখেন, ক্যান্টনমেন্টে সেনাপ্রধানের সাথে একটি বৈঠক হয়েছিল। তবে হাসনাত আব্দুল্লাহ'র পোস্টে লেখা কিছু বক্তব্যের সাথে তিনি একমত নন।
সেনাপ্রধানের সাথে এই বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে সারজিসের পোস্টের পরই এ নিয়ে নাগরিক পার্টির মধ্যেও আলোচনা তৈরি হয়।
দলের শীর্ষ একজন নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেন, "তারা সেনাপ্রধানের সাথে কিংবা সেনাবাহিনীর সাথে বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে আগে থেকে দলের মধ্যে আলোচনা করেননি"।
দলের শীর্ষ নেতারা এই বিষয়টি নিয়েও তাদের নিজস্ব আলোচনায় প্রশ্ন তুলেছেন বলেও বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন দলের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা।
তারা বলছেন, নাগরিক পার্টির দায়িত্বে থাকার পর তারা যদি সেনাবাহিনীর সাথে বৈঠক করতে যান, সেটি দলকে জানিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু যেহেতু তারা সেটি করেননি, এ নিয়ে দলের নেতাদের মধ্যেও অসন্তোষ কাজ করছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষ একজন নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেন, "গোপন বৈঠকের বিষয়টি গোপন না রেখে তারা যখন স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এনেছেন, এটি নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে"।
বর্তমান বাংলাদেশে সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট দেওয়া নিয়ে শুরুতেই দলের মধ্যে একটি পক্ষ বেশ অসন্তোষ জানায়।
ওই পোস্টের পর উত্তরের সংগঠক সারজিস আলম নতুন করে আরেকটি পোস্ট দেয়ায় বিষয়টি পরিস্থিতি আরো জটিল করে তোলে।
দলের একজন যুগ্ম আহবায়ক বিবিসি বাংলাকে বলেন, "হাসনাত আব্দুল্লাহর পোস্টের পর যাও কিছু মানুষের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছিল, পরে সারজিসের পোস্টে পুরো দলটিই তখন বিতর্কের মুখে পড়েছে"।
সারজিস আলমের পোস্টের নিচেই মন্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ দাবি করেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম, এই দুইজনের মধ্যে একজন মিথ্যা বলছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী গত শুক্রবার নিজের ফেসবুক একাউন্টে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেন।
এই বিষয়টিও দলের মধ্যে ব্যাপক সমালোচিত হয়।
সম্প্রতি পাঠ্যপুস্তক কমিটির সদস্য রাখাল রাহাকে নিয়ে সারজিস আলমের পোস্ট নিয়েও নানা বিতর্ক তৈরি হয়। পরে দলের মধ্যেই সমালোচনার মধ্যে পড়েন সারজিস আলম।
সেনাবাহিনী নিয়ে হাসনাত-সারজিসের পোস্টের প্রসঙ্গ টেনে দলের শীর্ষ এক নেতা বিবিসি বাংলাকে বলেন, "এই ধরনের পোস্ট করা সাংগঠনিকভাবে ভুল হইছে। তাদেরকে এই কাজগুলো যেন আর না করে সেটা বলা হয়েছে"।
সাম্প্রতিক এমন বেশ কিছু ঘটনায় পর অলিখিতভাবে দলের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয় যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে কোন পোস্ট দেয়ার বিষয়ে যেন দলটির নেতারা সতর্ক থাকে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা যাতে সবাই এক সুরে, এক সাথে পথ চলতে পারি সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে"।
রাজনৈতিক আস্থাহীনতা
জাতীয় নাগরিক পার্টিতে নুরুল হক নুরের যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন এনসিপি'র জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
সম্প্রতি দেশের এক বেসরকারি টেলিভিশনের টক শোতে তিনি মন্তব্য করেন, গণঅধিকার পরিষদের 'নুরুল হক নুরু তার দল বিলুপ্ত করে নাগরিক পার্টিতে সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন।'
তখন এই বিষয়টি নিয়েও বেশ সমালোচনা তৈরি হয়। অন্যদিকে, সেনা প্রধানের সাথে বৈঠকের বিষয়টিও প্রকাশ্যে আনার ঘটনাকে নাগরিক পার্টির অদূরদর্শিতা হিসেবে দেখছেন কেউ কেউ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন অনেক আলোচনা হয়, যেগুলো পর্দার আড়ালে হয়। সেগুলোকে যখন প্রকাশ্যে আনা হয়, তখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ও অবিশ্বাস বাড়ে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাশেদা রওনক খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, "যে কোন রাজনৈতিক নেগোসিয়েশনের বা বার্গেনিংয়ের বিষয়টা নিজেদের মধ্যে থাকতে হয়। এই ঘটনার আগ পর্যন্ত অনেক মিটিং হয়েছে কখনো তো কোন সামনে আসে নাই"।
"এমন হলে ভবিষ্যতে এই রাজনৈতিক দলের সাথে অন্য কোনো দলও আলোচনায় বসতে চাইবে না বা তাদেরকে আর নিরাপদ ভাববে না"।
তবে রাজনীতিতে এই বিয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখার সুযোগ নেই বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকদের কেউ কেউ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, রাজনীতিতে সামরিক বাহিনী ও এজেন্সির প্রভাব আছে, সেটা প্রমাণিত হলো। আগে বিষয়টি গোপন কিংবা অদৃশ্য আলোচনা ছিল, এখন এটার একটা স্বীকৃতি পেলো।
আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ও চ্যালেঞ্জ
গত সোমবার ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে সৈয়দপুর যান জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা সারজিস আলম। সেখান থেকে শতাধিক গাড়ি নিয়ে নিজ জেলা পঞ্চগড়ে শোডাউন ও অনুষ্ঠান করেন তিনি।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেককে সমালোচনা করতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের দলেরএক অনুষ্ঠানে বলেন, 'যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ইলেকশন ক্যাম্পেইন করতে যায়, তারা কী করবে, সেটা আমরা ভালো বুঝি।'
একই ভাবে হাসনাত আব্দুল্লাহকে নিজ এলাকায় এমন সভা সমাবেশ করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও দেখা গেছে।
যদিও বিভিন্ন সময় তাদের টাকার উৎস নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমসহ কিছু নেতার অর্থের উৎস নিয়ে দলের মধ্যেও নানা প্রশ্ন রয়েছে।
বড় বড় অনুষ্ঠানের অর্থ কোথা থেকে আসে, সেই প্রশ্নের উত্তরও জানেন না দলের নেতাদের অনেকেই।
দলটির একজন শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, হাসনাত-সারজিসের ফ্যান ফলোয়ার ও শুভাকাঙ্ক্ষীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় তারা ব্যক্তিগত পরিসরে এমন অনেক কাজ করেন, যা দলের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করে।
মঙ্গলবার সারজিস আলমকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে লেখা চিঠিতে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা লিখেন, "তুমি কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে বলেছিলে, "আমার আসলে এই মুহূর্তে কোন টাকা নাই। ধার করে চলতেছি"।
"কিন্তু সেই প্রেক্ষাপটে এত বড় একটি আয়োজন কীভাবে সম্ভব হলো — এর অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনা কীভাবে হয়েছে, তা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। আমাদের দল স্বচ্ছতা, সততা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সে জায়গা থেকে এসব প্রশ্নের স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য উত্তর দেওয়া আমাদের সবারই দায়িত্ব" যোগ করেন মিজ জারা।
যাদের কারণে দলের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না- সেই প্রশ্নও উঠেছে।
দলটির শীর্ষ নেতাদের একজন বিবিসি বাংলাকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "দলের শীর্ষ দশটি পদকে বলা হয় সুপার টেন। এই সুপার টেনের চারজনের বিরুদ্ধে নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ বার বার আসছে। দশজনের মধ্যে যখন চারজনই এই কাজে জড়িয়ে পড়ে, তখন তার বিচার করা মুশকিল"।
এ সব প্রেক্ষিতে সম্প্রতি দলের মধ্যে আর্থিক জবাবদিহিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দু জন নেতা।
নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, "ব্যক্তিগত পদক্ষেপে ভুল বুঝাবুঝি হয়। সেটাকে মিনিমাইজ করে এক সাথে পথ চলার ব্যাপারে জোর দিচ্ছি"।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দলটির কেউ কেউ নিজেকে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করেন, তারা তাদের মতো করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। এতে দলের চেয়ে ব্যক্তি মানে 'আমি' গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এটা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।
বিশ্লেষক রাশেদা রওনক খান বিবিসি বাংলাকে বলেন, "নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ বিভ্রান্ত হয় ও বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি তৈরি হয়। এতে যে কোন দলের জন্যই তা একটু চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায়। জনসমর্থন পেতে এই বিষয়গুলোকে মোকাবেলা করতে হবে নতুন দলকে"।