
প্রথমবার জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে অংশ নিয়েই চ্যালেঞ্জার ট্রফি জয়ের গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দল। আর এই সাফল্যের জন্য যুবাদের সংবর্ধনা জানাল বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর কুর্মিটোলা ঘাঁটির শাহিন দ্বীপে আয়োজিত এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপ ফেরত যুব দল এবং সম্মাননা ও বড় অঙ্কের অর্থপুরস্কার দেওয়া হয়।
খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের হাতে সম্মাননা স্মারক ও চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন।
যুব দলের সাফল্য ও আর্থিক পুরস্কার ভারতের চেন্নাই ও মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত জুনিয়র বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ১৭তম স্থান অর্জন করে এবং চ্যালেঞ্জার ট্রফি নিশ্চিত করে। এই সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে যুব দলের জন্য মোট ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়।
এর মধ্যে হকি ফেডারেশন ৪০ লাখ এবং বিমানবাহিনী প্রধান ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২০ লাখ টাকা প্রদান করেন।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স ছিল ডিফেন্ডার আমিরুল ইসলামের। ৬ ম্যাচে ৫টি হ্যাটট্রিকসহ ১৮ গোল করে তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমিরুলকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়।
মোট ৬০ লাখ টাকার তহবিল থেকে দলের অন্য সদস্য ও কোচিং স্টাফদের প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা করে দেওয়া হলেও, আমিরুলকে আলাদাভাবে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হাসান জানান, এই প্রণোদনা শুধু খেলোয়াড়দের জন্য নয়, কোচিং স্টাফসহ দলের সাফল্যের নেপথ্যে থাকা সবার জন্যই প্রযোজ্য।
এ ছাড়াও একই সম্মান জানানো হয় অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে ব্রোঞ্জজয়ী নারী হকি দলকে। ইতিপূর্বে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে তাদের এক লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। এবার ফেডারেশনের সংবর্ধনায় পুরো দলকে ১০ লাখ টাকা বোনাস দেওয়া হয়।
ভবিষ্যতের স্বপ্ন খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ফেডারেশন সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন বলেন, বিশ্বকাপে আমাদের দল যে লড়াকু মানসিকতা দেখিয়েছে, তা দেশের হকির জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। এই অর্জন ভবিষ্যতে এশিয়ান গেমস ও বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার পথে আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।
সংবর্ধনা শেষে দলের তারকা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতা আমিরুল ইসলাম বলেন, এই সম্মান আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ আরও ভালো ফলাফল করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।