News update
  • Body of Osman Hadi Returns to Dhaka From Singapore Late     |     
  • Fakhrul condemns attacks on media, calls for unity, justice     |     
  • 2 cops among 4 hurt in clash outside Indian Assit H.C. in Ctg     |     
  • Inqilab Moncho urges people to avoid violence     |     
  • Hadi’s death: Prothom Alo, Daily Star offices set afire      |     

বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার দুই ছাত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অপরাধ 2025-04-09, 8:30am

55435345-72f125097d3f524efe8c98a1f6c42bdc1744165852.jpg




নরসিংদীর রায়পুরায় ষষ্ঠ শ্রেণীর দুই ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দী এলাকায় আট বন্ধু মিলে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত কাইয়ুম চরআড়ালিয়া এলাকার সেন্টু মিয়ার ছেলে এবং মুন্না একই এলাকার শাহ মিয়ার ছেলে এবং তাদের বন্ধুরা হচ্ছে একই এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে সাইফুল মিয়া, খলিল মিয়ার ছেলে রমজান মিয়া ও অজ্ঞাত আরও ৪ জন। অন্যদিকে, ধর্ষণের শিকার দুই ছাত্রী উপজেলার বাঘাইকান্দী এলাকার বাসিন্দা।

স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার বিকেলে বাঘাইকান্দী এলাকার কাইয়ুম (২১) ও মুন্নার (২২) সাথে নৌকা যোগে ঘুরতে যায় দুই বান্ধবী। নৌকা দিয়ে ঘুরাঘুরি শেষে সন্ধ্যায় হলে কৌশলে কাইয়ুম ও মুন্না নৌকা তীরে ভিড়ায় এবং তাদেরকে পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কাইয়ুম ও মুন্না তাদের আরও ছয় বন্ধুকে ডেকে এনে সকলে মিলে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই নাবালিকা ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাদেরকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তারা নিজ বাড়ি ফিরে গেলে তাদের অবস্থা দেখে পরিবারের সদস্যরা ঘটনা জানতে চাইলে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পায়। 

এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রীর পিতা বলেন, আমরা চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়েছি, চেয়ারম্যান বলেছেন বিচার করে দিবেন। আমরা বিচারের অপেক্ষায় আছি। থানা পুলিশী ঝামেলায় যেতে চাই না। তাছাড়া মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছি।

অপর ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পিতা বলেন, রাতে বাড়ি ফিরে ঘটনা শুনেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী। আমরা তাদের সঙ্গে পারবো না। তাছাড়া মেয়েকে ভবিষ্যতে বিয়ে দেয়ার বিষয়টি চিন্তা করে এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েছি। চেয়ারম্যান যে বিচার করবে আমি তাই মেনে নিবো। আমি গরীব মানুষ, দিন আনি দিন খাই, থানা পুলিশ করার মত সামর্থ আমার নেই।

এ ব্যাপারে চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদা জামান সরকার বলেন, তারা আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। আমি ঘটনা শুনেছি। সকল বিষয় চিন্তা করে আমি তদন্তের জন্য লোক পাঠিয়েছি। ঘটনার বিস্তারিত জেনে বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে বিচারে বসবো।

ধর্ষণের ঘটনা গ্রাম আদালতে মীমাংসা যোগ্য কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। এ ছাড়াও বিচারে বিলম্ব হলে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যাবে, তখন বিচার কিভাবে করবেন এ প্রশ্নের জবাবেও তিনি কোনো সৎ উত্তর দিতে পারেনি।

এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। তাছাড়া কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান। আরটিভি