News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

‘রেমিট্যান্সের নামে কর ফাঁকি দিয়ে ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন এক ব্যক্তি’

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2025-03-18, 8:12am




জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, প্রবাসীদের করমুক্ত সুবিধার আইনি সুযোগ নিয়ে রেমিট্যান্সের নামে এক ব্যক্তি ৭৩০ কোটি টাকা দেশে এনে কর ফাঁকি দিয়েছেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম ও বিসিএস কর ক্যাডারদের মতবিনিময় সভায় তিনি এই তথ্য দিয়েছেন।

ওই ব্যক্তির নাম জিজ্ঞেস করলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, নাম না বলাই ভালো। অ্যাকশনগুলো তো নিতে হবে। অ্যাকশন নেওয়ার পরে তখন অটোমেটিক্যালি আপনারা নাম জেনে যাবেন। যখন দেখবেন যে ‘লাইমলাইটে’ চলে আসছে, তখন আপনারা জানবেন।

আবদুর রহমান খান বলেন, আমরা আইন করলাম যে, আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা যারা কঠোর পরিশ্রম করে বিদেশ থেকে টাকা উপার্জন করে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা বললাম, তাদের এই আয়টা ট্যাক্স ফ্রি হবে বাংলাদেশে। এটা হচ্ছে প্রবাসী কর্মীদের উৎসাহিত করবে এবং তারা যাতে করে বিদেশে তাদের এই রোজগারটা বাংলাদেশে ফরমাল চ্যানেলে পাঠায়। আমাদের রিজার্ভে অবদান রাখবে। কিন্তু আইনকানুনের ব্যত্যয় করে কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আপনারা শুনলে আশ্চর্য হবেন যে এমন ট্যাক্সপেয়ার পাওয়া গেল যিনি ৭৩০ কোটি টাকা নিয়ে এলেন এবং তিনি বলছেন, এটা ওনার ওয়েজ আর্নার্স এবং এটা ট্যাক্স ফ্রি। আইনকানুন যেভাবে হয়েছে সেভাবে বাস্তবায়ন হয় নাই।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ট্যাক্স রিটার্ন দেবেনই বা কেন, ট্যাক্স রিটার্ন না দিলে যদি শান্তিতে থাকা যায়, কোনো ঝুট-ঝামেলা না হয়, উল্টো যারা রিটার্ন দিচ্ছে তারাই ঝামেলায়। খেয়াল করেন। আপনি ১ কোটি ১৩ লাখ টিআইএনধারীর মধ্যে ৪০ লাখ রিটার্ন দেয় বাকি ৮০ লাখের ওপর দেয় না। কাছাকাছি, তাহলে রিটার্ন না দিয়েই যদি শান্তিতে থাকা যায় তাহলে যারা রিটার্ন দিচ্ছে, ওদের বরং প্রশ্ন করা উচিত, আপনি রিটার্ন দেন কেন?

তিনি আরও বলেন, তার মানে হলো- আমাদের যে কাজগুলো করার কথা মাঠপর্যায়ে, এনফোর্সমেন্ট যেটা করার কথা সেটা আমরা করছি না পুরোপুরি। সেই কারণেই এই প্রবলেমগুলো হচ্ছে এবং সেই কারণেই উল্টো ফল হচ্ছে।

বক্তব্য প্রদানকালে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর সভাপতি দৌলত আক্তার মালা রাজস্ব সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদনের জন্য তথ্যের সহজলভ্যতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আলোচনায় বিসিএস ট্যাক্সেশন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী ও মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান অংশ নেন। এ ছাড়া এলটিইউ (বৃহৎ করদাতা ইউনিট) কমিশনার ইখতিয়ার উদ্দিন মামুন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আরটিভি