News update
  • UN Confronts Crisis of Trust, Legitimacy and Relevance     |     
  • Finance Adviser to Unveil Tk 7.9 Tln Budget Monday     |     
  • জামালপুরে ১৪৪৪ মি নিচে গ্যাসের সন্ধান, ৭.৩ মি ঘনফুট চাপ     |     
  • BIDA Chief Sees New Horizons in Bangladesh-China Ties     |     
  • Lawmakers Push to Boost Women's Role in Politics, Workforce     |     

ঢাবির এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকি ১৮ লাখ টাকা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2024-08-16, 9:16pm

img_20240816_211542-21adf4fa8e8a828486d1856d0461e06b1723821367.jpg




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাদের বাকির পরিমাণ ১৭ লাখ ৯৩ হাজার বা প্রায় ১৮ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ক্যান্টিন মালিক বাবুল। এর মধ্যে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ আর সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন দুজনই ৬ লাখের মত বাকি খেয়েছেন বলে দাবি তার।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে এই দাবি করেন বাবুল। এ সময় তিনি বাকির একটি লিস্ট প্রভোস্ট অফিসে জমা দেন।

বাকির হিসাবে দেখা গেছে, এফ রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ বাকি খেয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, সাধারণ সম্পাদক মুনেম শাহরিয়ার মুন খেয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা, ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী আলী আহসান রিফাতের নাম, তার বাকি ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা। তাছাড়া ছাত্রলীগ নেতা রবি ১ লাখ ১৮ হাজার, নাহিদ ও জুয়েল ১ লাখ ১৫ হাজার করে, উচ্ছল ৮৫ হাজার, হারুন ৭০ হাজার টাকা বাকি খেয়েছেন। লিস্টে মোট ৪৮ জন ছাত্রলীগ নেতা মোট ১৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকার বাকি খেয়েছেন।

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. রফিক শাহরিয়ার বলেন, ‌‘আমার কাছে ক্যান্টিন মালিক অভিযোগ দেননি। এর আগেও আমি ক্যান্টিন ঘুরে তার খাবারের মান নিয়ে জিজ্ঞেস করেছি, তার কাছে কেউ বাকি খায় কি না জানতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি বরাবরই আমাকে বলেছেন তার কাছে কেউ বাকি খায় না। আমি তাকে নেতাদের নাম দিতে বলেছিলাম, তিনি দেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এত টাকা বাকি খেলে তিনি কীভাবে ক্যান্টিন পরিচালনা করেছেন আমি জানি না। তিনি আগের প্রভোস্টের কাছে কোনো অভিযোগ দিয়েছিলেন কি না সেটাও দেখতে হবে। এত টাকা বাকি থাকার পরও তিনি কীভাবে ক্যান্টিন চালিয়েছেন সেটাও দেখার বিষয়। এটি তদন্তের বিষয়। তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

ক্যান্টিন মালিক বাবুল এ বিষয়ে বলেন, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতারা আমার ক্যান্টিন থেকে নিয়মিত বাকি খেয়েছেন। আমি তাদের কিছু বলতে পারতাম না, অভিযোগ দেওয়ারও সুযোগ ছিল না। এ পর্যন্ত মোট ১৮ লাখ টাকার বাকি খেয়েছেন তারা। সভাপতি রিয়াজ আর সেক্রেটারি মুন দুজনই ৬ লাখের মত বাকি খেয়েছেন এই ৫ বছরে।

তিনি বলেন, টাকা চাইলেও তারা দিতেন না, আমাকে প্রেশারে রাখতেন। এখন তারা আমাকে পথে বসিয়ে পালিয়েছেন। আমি প্রভোস্ট অফিসে এই লিস্ট জমা দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই, আমার টাকা ফেরত চাই।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।