খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর প্রশাসনের চলমান আচরণ নিয়ে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রেস ব্রিফিং কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
কুয়েটের চলমান ইস্যুতে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১টায় প্রেস ব্রিফিং ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। বুয়েট ২০ ব্যাচের উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক আহত হয়। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
ওইদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে কমিটিও করা হয়।
এরপর সেদিন রাতেই খানজাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করে প্রশাসন। ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেটের ৯৯তম জরুরি সভায় একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
প্রায় দুই পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ও হল খুলে দেয়া হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে হল খুলে দেয়ার দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১৩ এপ্রিল) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন তারা।
দাবি না মানায় ওইদিন রাতভর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যার পরে কুয়েট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শতাধিক শিক্ষার্থী।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন ও উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয় জরুরি সিন্ডিকেট সভা বসে। ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা ডিভিশনের পাবলিক রিলেশনস অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শাহেদুজ্জামান শেখ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যম পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগামী ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। তার দুইদিন আগে অর্থাৎ ২ মে হল খুলে দেয়া হবে।