News update
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     
  • New gas reserve found in old well at Sylhet Kailashtila field     |     
  • Revenue earnings shortfall widens in October     |     

ক্লাসে ফেরেননি শিক্ষকরা, কুয়েটে নতুন করে অচলাবস্থা

ক্যাম্পাস 2025-05-06, 7:30am

443543543-9a1d5a1c27be75c831130d667c8a9f071746495024.jpg




শিক্ষা উপদেষ্টা ও ইউজিসি প্রতিনিধিদের পক্ষপাতমূলক আচরণে তারা ব্যথিত ও মর্মাহত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) শিক্ষকরা দ্বিতীয় দিনেও ক্লাসে ফেরেননি। দীর্ঘ ৭৪ দিন পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার (মে) কুয়েট শিক্ষক সমিতি সাধারণ সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে চার দফা দাবি উপস্থাপনের ফলে কবে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোদমে ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে নতুন করে অচলাবস্থাও দেখা দিয়েছে।  

এদিকে, দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে পুনরায় ক্ষমা প্রার্থনা ও অবস্থান স্পষ্ট করে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্যের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। এরপর উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম চালুর বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

অন্যদিকে, শিক্ষা উপদেষ্টা ও ইউজিসি প্রতিনিধিদের পক্ষপাতমূলক আচরণের তীব্রভাবে নিন্দা জানিয়ে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ১৮ ফেব্রুয়ারির হামলা এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি ও এরপর ঘটে যাওয়া শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিচারের আওতায় না আনলে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা সম্ভব নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষক সমিতি জানায়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য যারা হুমকি স্বরূপ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৫ দফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের সাইবার বুলিং, গুজব ছড়ানো বা অপমানমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে চার দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কুয়েট শিক্ষক সমিতির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।

আমরা দ্রুত ক্লাসের ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী সাত কর্মদিবসের মধ্যে এই দাবি পূরণ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করে প্রফেসর ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, ২৩ এপ্রিল শিক্ষা উপদেষ্টা এবং ইউজিসির প্রতিনিধিদল যে পক্ষপাতিত্বমূলক ভূমিকা পালন করেছেন, তাতে শিক্ষকরা উপেক্ষিত হয়েছে। শিক্ষকরা এ ঘটনায় মর্মাহত এবং এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। 

এদিকে, সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে কুয়েটের নবনিযুক্ত ভিসি অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী আজ (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সরকারের নির্দেশে আমি কুয়েটে এসেছি এবং ইতোমধ্যে যোগদান করেছি। এরপর থেকে সিরিজ মিটিং, বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে মিটিং করেছি। উদ্দেশ্য একটাই যে, আমাদের একাডেমিক কার্যক্রম কীভাবে দ্রুত চালু করা যায়। এটাই এখন প্রধান উদ্দেশ্য। 

প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। এর জেরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ক্লাস বর্জন করেন এবং উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ, ছাত্র রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করেন। তাদের আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও প্রোভিসি শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে গত ২৫ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৪ মে থেকে সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়।আরটিভি