News update
  • Arab-Islamic Summit Warns Israel Attacks Threaten Ties     |     
  • South-South Cooperation: Building Innovation and Solidarity     |     
  • Consensus must; polls to be a grand festival: Prof Yunus     |     
  • Salahuddin sees security risks if polls miss February deadline     |     
  • Qatar denounces Israel before major summit over Doha attack      |     

রাজার ব্যাটে রাজকীয় জয় জিম্বাবুয়ের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2022-08-05, 11:41pm




‘ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে বিপজ্জনক দল’- জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে প্রতিপক্ষ নিয়ে এভাবেই বলেছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। জিম্বাবুয়েও কথাটা সত্য প্রমাণ করেছে। সে জন্য ঘরের মাঠে বাংলাদেশের জন্য বিপজ্জনক দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জিম্বাবুইয়ানরা।

গত বছর ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রতিটিতে হারলেও এবার আর একই ভুল করেনি স্বাগতিকরা। সিকান্দার রাজার রাজত্বে ৯ বছর পর বাংলাদেশকে ওয়ানডে ফরম্যাটে হারাল জিম্বাবুয়ে। হারারেতে বাংলাদেশ আজ (৫ আগস্ট) জিতলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ২০ জয়ের আনন্দে ভাসতো। তবে ইনোসেন্ট কাইয়া এবং রাজা ১৯-এ থামালো বাংলাদেশকে।

হারারেতে এদিন বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত পঞ্চাশ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান তোলে বাংলাদেশ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজা এবং কাইয়ার জোড়া শতকে ১০ বল হাতে রেখে পাঁচ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে। রাজা ১৩৫ রানের অসাধারণ অপরাজিত এক ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

হারারেতে এদিন বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারায় জিম্বাবুয়ে। ৬ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ের প্রাথমিক বিপর্যয় কাটায় কাইয়া এবং ওয়েসলি মাধভেরে। এই দুইজন তৃতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন।

মাধভেরে ১৯ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। দলীয় ১৩ ওভারের মাথায় ৬২ রানে ৩ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে এরপরের ২৮ ওভারে হারায়নি আর কোনো উইকেট। এই সময়ে রাজাকে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়ে জিম্বাবুয়েকে জয়ের পথে রাখেন কাইয়া।

এর আগে ৩ ম্যাচে ১১৮ রান করা কাইয়া এদিন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে করেছেন আরও ১১০ রান। ১২২ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ে এই ইনিংস সাজান কাইয়া। শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেকের বলে শরীফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

কাইয়া কিছুটা ধীরস্থির ইনিংস খেললেও রাজা দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন। ৮১ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছয়ে নিজের শতক পূর্ণ করেন রাজা। অপরপ্রান্তে রান ও বলের ব্যবধান কমিয়ে জিম্বাবুয়ের জয়ের ভাগ্য নিজেদের দিকে নিয়ে নেন এই জিম্বাবুইয়ান।

শেষ পর্যন্ত ১০৯ বলে ৮টি চার ও ৬টি ছয়ে ১৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করেন রাজা। শেষদিকে লুক জঙ্গয়ে ১৯ বলে খেলেন ২৪ রানের ইনিংস।

এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দাসের ব্যাটে ওপেনিংয়ে ১১৯ জুটি পায়। অধিনায়ক তামিম ব্যক্তিগত ৬২ রানে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৮০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম। ব্যক্তিগত ৫৭ রানে তামিম স্পর্শ করেন ওয়ানডেতে ৮ হাজার রানের মাইলফলক।

তামিমের বিদায়ের পর তিন বছর পর ওয়ানডে ফরম্যাটে মাঠে নামেন আনামুল হক বিজয়। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। মাঠে নেমেই লিটনের সঙ্গে ছয় ওভারের মধ্যে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েন বিজয়।

এরমধ্যে অবশ্য লিটন ব্যক্তিগত ফিফটি ছুঁয়ে শতকের পথে ছুটতে থাকেন। ৭৫ বলে ফিফটি ছোঁয়া লিটন পরের ১৪ বলে তোলেন ৩১ রান। ৮৯ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৮১ রান করে পায়ের পেশিতে টান পড়ায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন।

লিটন ফিরলেও চারে নামা মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দারুণ গতিতে ছুটতে থাকেন বিজয়। ৯৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। এরমধ্যে ৪৭ বলে ফিফটি তুলে নেওয়া বিজয় ৬২ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৭৩ রান করে ভিক্টর নিউইচির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন।

বিজয় ফিরলেও টাইগারদের রানের গতি সচল রাখেন মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরমধ্যে মুশফিকও ফিফটি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত মুশফিক ৫২ এবং মাহমুদউল্লাহ ২০ রান করে টাইগারদের তিন শ রানের কৌটা পার করে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।