News update
  • Gaza: UN rights office condemns Israeli buffer zone plan     |     
  • US tariffs move could see 3% fall in global trade: Top UN economist     |     
  • Myanmar Military strikes on amid earthquake response works     |     
  • Countries reach historic deal to cut shipping emissions     |     
  • ‘With Science, We Can Feed the World of 9.7 Billion by 2050′     |     

থুসারার ফাইফারে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

ক্রিকেট 2024-03-09, 6:44pm

lsdkflisoppweto-0447e2989bf0b7ac7b416d0eb42fc1431709988415.jpg




শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৩ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের জয়ে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। তবে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ব্যাটারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে ২৮ রানের শোচনীয় পরাজয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের ইতিহাস গড়ার হাতছানি।

শনিবার (৯ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় সফরকারীরা। জবাবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২ বল বাকি থাকতে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে গেছে লাল-সবুজেরা। এতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ।

লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন দুই টাইগার ওপেনার। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৩ রানেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন।

ওভার শেষ না করেই উঠে যান ম্যাথুস। এরপর তার অসম্পন্ন ওভার করতে আসেন ধনাঞ্জয়া। এসেই লিটনকে ফিরিয়েছেন তিনি। ধনাঞ্জয়ার অফ-স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে ওপরে ক্যাচ তুলেন লিটন।

লিটন ফেরার পর রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন নুয়ান থুসারা। নিজের প্রথম ওভারে এসেই হ্যাটট্রিক করেছেন লঙ্কান এই পেসার।

শুরুটা অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তে। এরপর হৃদয় এবং সবশেষে মাহমুদউল্লাহ! ৩ বল ব্যবধানে ১৫/১ থেকে বাংলাদেশ ১৫/৪!

লিটনকে হারিয়ে বিপদে পড়া লাল-সবুজ শিবিরকে আরও হতাশায় ডুবান শান্ত। থুসারার চমকপ্রদ এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন শান্ত। ঠিক পরের বলে ভাঙল তাওহিদ হৃদয়ের স্ট্যাম্পও। এবার লেংথের সিম ডেলিভারি বুঝে উঠতেই পারেনি মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার।

এরপর হ্যাটট্রিকও পেয়েছেন থুসারা। তার লেংথ থেকে নিচু বলে স্কয়ারড-আপ হয়ে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ। রিভিউ নিয়েও ফায়দা হয়নি। আম্পায়ার্স কলের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ফলে পঞ্চম লঙ্কান বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক পান থুসারা।

এরপর দলের হাল ধরতে পারেননি সৌম্যও। থুসারার আঘাত থেকে রক্ষা পাননি এই ওপেনার। নিজের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে তাকেও বোল্ড করেছেন লঙ্কান এই পেসার।

এমন বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন জাকের আলী ও মেহেদী হাসান জুটি। তবে হাসারাঙ্গার গুগলিতে লেগ বিফোরের ফাঁদে কাঁটা পড়েন জাকের। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নিলেও বহাল থেকেছে আম্পায়ার শরফুদ্দৌলার সিদ্ধান্ত।

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মেহেদী-রিশাদ জুটি। তবে সেটিও টেকেনি বেশিক্ষণ! ৩১ বলে ৪৪ রানে ভেঙেছে এই জুটি। মেহেদীকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক হাসারাঙ্গা।

এরপর টপ-অর্ডার ও মিডল-অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন স্পিনার রিশাদ হোসেন। দলীয় বিপর্যয়ের মুহূর্তে ব্যাট করতে নেমে ২৬ বলে ৭ ছক্কায় ফিফটি করেন এই স্পিনার। তবে এরপর আর সেভাবে হাসেনি তার ব্যাট। শেষ পর্যন্ত ১৪৬ রানে থেমেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের ইনিংস।

এর আগে, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে লঙ্কানদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক নাজমুল শান্ত।

ব্যাট করতে নেমে তাসকিন-শরিফুলের আঁটসাঁট বোলিংয়ে শুরুর দিকে বেশ চাপে পড়েছিল লঙ্কানরা। তিন ওভারে মাত্র ১৮ রান তুলতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা।

এরপর চতুর্থ ওভারে প্রথম বেকথ্রু এনে দেন তাসকিন। সৌম্য সরকারের মুঠোবন্দী বানিয়ে ওপেনার ধনঞ্জায়া ডি সিলভাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান এই পেস সেনসেশন।

ডি সিলভা ফিরলে মেন্ডিসের সঙ্গী হন কামিন্দু। তবে ক্রিজে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরেন কামিন্দু। রিশাদের ওভারে ১২ রানে শরিফুলের মুঠোবন্দী হন তিনি।

এরপর কুশল মেন্ডিসের সঙ্গে দলের হাল ধরেন দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা অধিনায়ক হাসারাঙ্গা। তবে প্রত্যাবর্তনের দিনে রঙিন গল্প লিখতে পারেননি তিনি। ১ ছক্কা ও ১ চারে ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

চারিথ আসালাঙ্কাকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখান শরিফুল। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন মেন্ডিস। ৩৫ বলে দুর্দান্ত ফিফটি তুলে নিয়ে ক্রমেই সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। তবে তাকে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে দেননি তাসকিন। ডেথে ওভারের শুরুর দিকেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। তাসকিনের ওভারে ৫৫ বলে ৮৬ রানে শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লঙ্কান এই ব্যাটার।

শেষ দিকে দাসুন শানাকার ৯ বলে ১৯ রানের ক্যামিওতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৪ রানের বড় লক্ষ্য পায় লঙ্কানরা।

টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ ও তাসকিন।