ক্রিকেট বিশ্বের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের মধদকার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লড়াই মাঠে দেখার সুযোগ দর্শকদের হবে কিনা সেটা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দীর্ঘ দিন ধরে পাকিস্তান সফরে যায় না ভারত। যার কারণে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সিরিজও অনুষ্ঠিত হয় না। তবে আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। তবে সেখানে ভারত যাবে না বলে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে কিনা সেটা এখনও শতভাগ নিশ্চিত না হলেও, বুধবার (১৩ নভেম্বর) পাকিস্তানকে আয়োজক দেখিয়েই একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আইসিসি। দেড় মিনিটের ভিডিওটিতে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পাশাপাশি আয়োজক পাকিস্তান এবং ক্রিকেটের ঐতিহ্যও ফুটে উঠেছে।
ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিরোধের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ আছে বেশ অনেক দিন ধরেই। তবে বৈশ্বিক আসরের স্বার্থে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সবশেষ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ভারতের মাটিতে খেলে এসেছে পাকিস্তান। যদিও ভারত সেই পথে হাঁটেনি। তাদের আপত্তিতেই এশিয়া কাপ হয়েছিল হাইব্রিড মডেলে। কিন্তু সেটা ছিল এসিসি সূচি। অনেকেরই ধারণা ছিল, আইসিসি সূচিতে অন্তত ভারত যাবে পাকিস্তানে। এমন অবস্থায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণের ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের কাছে লিখিত জবাব চেয়েছিল পিসিবি।
পিসিবির চাওয়া অনুযায়ী ভারত লিখিত উত্তর দিয়ে দিয়েছে বলেও খবর। যেখানে আইসিসির পাশাপাশি পাকিস্তানকেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে চ্যাম্পিন্স ট্রফি খেলতে পাশের দেশে যাবেন না ভারত। মূলত ভারত সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই। এমন অবস্থায় আবারও হাইব্রিড মডেল চেয়েছিল ভারত।
এই প্রস্তাবে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তারা হাইব্রিড মডেলের পক্ষে নয়। তাদের এমন কড়া বার্তার পর এতে যুক্ত হয়েছে আইসিসি। ভারতের গণমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পিসিবিকে হাইব্রিড মডেল মেনে নিতে চাপ দিচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আর হাইব্রিড মডেল না মানলে দক্ষিণ আফ্রিকায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সরিয়ে নেয়ার কথা বলছে তারা। তবে এখনও আইসিসি, পাকিস্তান বা ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।