News update
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     
  • EU deploys election observation mission to Bangladesh     |     

এক দশকের মধ্যেই আইসিসির টুর্নামেন্ট জিততে পারে আফগানিস্তান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2025-03-01, 3:12pm

werewrewrsadas-256ffccfcce05e09bf45dff73ad0f06d1740820377.jpg

ছবি: ডেল স্টেইন ও আফগানিস্তান দল, আইসিসি



আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আফগানিস্তানের যাত্রা শুরু গত দশকে। এই অল্প সময়েই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি ক্রিকেটে সমীহ জাগানো শক্তি হয়ে উঠেছে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর অল্পের জন্য সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে পারেনি। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে পেছনে ফেলে সেমিফাইনাল খেলেছিল আফগানরা। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। ধারাবাহিকভাবে উন্নতির ধারা বজায় রেখে একের পর এক জায়ান্ট দলকে হারিয়ে দেয়াকে কেউই আর ফ্লুক মনে করেন না। বরং নিকট ভবিষ্যতেই আফগানিস্তান শিরোপা জেতার মতো দল হয়ে উঠবে বলে মনে করেন অনেকেই।

দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি ডেল স্টেইন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আফগানিস্তানের পারফরম্যান্সে চমৎকৃত। আফগানিস্তান আগামী এক দশকের মধ্যেই আইসিসির টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতার মতো দল হয়ে উঠতে পারে বলে বিশ্বাস এই সাবেক ফাস্ট বোলারের। তবে, এর জন্য তিনি আফগান খেলোয়াড়দের আরও ধৈর্যশীল হতে এবং দলগত খেলায় মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু করলেও গত বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) লাহোরে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে ৮ রানে হারিয়ে দেয় আফগানিস্তান। এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই জমাতে না পারলেও বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত হওয়ায় একটি পয়েন্ট পেয়েছে।

বড় দল হয়ে উঠতে আফগানদের আরও ধৈর্যশীল হতে হবে বলে মনে করেন। আফগানদের অস্থির ও ধৈর্যহীন বলে মনে হয়েছে স্টেইনের। তিনি বলেন, 'আগের দিনে অনেকেই কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে যেত। কিংবা তারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে যেত তাদের দক্ষতা এবং ধৈর্যশক্তি আরও বাড়ানোর জন্য। আমার মনে হয়, আমরা এখন এমন একটা সময়ে বাস করছি যেখানে মানুষ পর্যাপ্ত ধৈর্যশীল নয়।আমরা ইনস্টাগ্রামে একটা স্টোরিও দুই সেকেন্ডের বেশি দেখতে চাই না এবং আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের খেলাও আমার তেমনই মনে হয়–অস্থির এবং ধৈর্যহীন।'

'তারা চায় সবকিছু খুব দ্রুত ঘটে যাক। এই বলে উইকেট পড়তেই হবে, তাদের পরিস্থিতি তৈরি করে তারপর উইকেট শিকারের ধৈর্য নেই। এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাটারদের বেলাতেও একই ব্যাপার, তারা প্রথম ওভার থেকেই খেলতে চায়। ক্রিজে প্রচুর মুভমেন্ট হয়, তাই তারা ছক্কা মেরে ম্যাচ এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।'–স্টেইন যোগ করেন।

আইপিএলসহ বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আফগান ক্রিকেটারদের কদর বাড়ছে। ক্রিকেট শেখার জন্য এটা কার্যকরী বলে মনে করেন স্টেইন। তবে বড় দল হতে উঠতে চারদিনের ম্যাচেও মনযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্টেইন।

তিনি বলেন, 'আমার মনে হয়, তাদের অনেকেই সারা বিশ্বে টি-টোয়েন্টি খেলে বেড়ায়, যেটা অসাধারণ, তাদের পকেটের জন্য এবং তাদের শেখার জন্যও। তবে চার দিনের ক্রিকেটেও কিছুটা সময় দিলে হয়ত তাদের আরও ভালো হত, যেহেতু একদিনের ক্রিকেট মূলত টেস্ট ক্রিকেটেরই সংক্ষিপ্ত সংস্করণ। এর কিছু মুহূর্ত আছে যেখানে টি-টোয়েন্টির ধরণ প্রয়োগ করা যায়। কিন্তু ধৈর্য হলো সবচেয়ে বড় জিনিস যা আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের শেখা দরকার। একবার তারা এটা রপ্ত করতে পারলে, সত্যি বলতে, আগামী এক দশকে তারা নির্দ্বিধায় আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারে।'