News update
  • Govt decides to withdraw over 10,000 ‘political’ cases     |     
  • Banks can repay depositors from recovered embezzled money: Gov     |     
  • Elon Musc’s Starlink begins operations in Bangladesh     |     
  • Seafood Without Transparency is a Recipe for Disaster     |     
  • Govt Moves to Drop Over 10,000 Political Cases     |     

২০৫ রান করেও আমিরাতের কাছে হারল বাংলাদেশ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2025-05-20, 6:48am

c71b51df0771bbacc6e1b09785b282ecf7ad8335713ff0de-1e71bf85880dd24110a76fd162c05b3c1747702093.jpg




শেষ ১০ বলে ২৮ রান দরকার ছিল আরব আমিরাতের, হাতে ৩ উইকেট। লড়াই করেও আরেকটা হারের দ্বারপ্রান্তে ছিল আরব আমিরাত। তবে সেখান থেকে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা। শরিফুল ইসলাম এবং তানজিম সাকিবের শেষ ৯ বলেই ২৮ রান তুলে নিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল আরব আমিরাত।

সোমবার (১৯ মে) শারজায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ২ উইকেটে হারিয়েছে আরব আমিরাত। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে আমিরাত। বাংলাদেশের বিপক্ষে যেকোনো ফরম্যাটে এটি তাদেএ প্রথম জয়।

বড় লক্ষ্যের জবাবে শুরুটা দুর্দান্ত হয় আরব আমিরাতের। পাওয়ারপ্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৮ রান তোলে স্বাগতিকরা। গত ম্যাচের মতো আজও ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন আরেক ওপেনার মুহাম্মদ জোহাইব।

১০ ওভারে ১০৭ রানের জুটি গড়েন দুই আমিরাত ওপেনার। জোহাইবকে ফিরিয়ে একাদশ ওভারের প্রথম বলে সেই জুটি ভাঙেন তানভীর ইসলাম। তিনে নামা রাহুল চোপরাকে ইনিংস বড় করার সুযোগ দেননি রিশাদ হোসেন। দ্বাদশ ওভারে এই ব্যাটারকে নাহিদ রানার ক্যাচে পরিণত করেন তিনি।

এক প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও অন্য প্রান্তে ঝোড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওয়াসিম। ১৫তম ওভারে তাকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। ৫ ছক্কা ও ৯ চারে ৪২ বলে ৮২ রান করে ফেরেন আমিরাত অধিনায়ক।

অধিনায়কের বিদায়ের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে আসিফ খান এবং সগীর খানের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তবে রানটা সাধ্যের মধ্যে রেখে যান তারা।

শেষ ১৭ বলে ৩০ রান দরকার ছিল আরব আমিরাতের, হাতে ৫ উইকেট। পরিস্থিতি বিবেচনায়  ফেভারিট ছিল স্বাগতিকরাই। তবে সেখান থেকে ম্যাচ বাংলাদেশের ফেভারে আসে পরবর্তী ৭ বলে।

১৮ তম ওভারের প্রথম বলে ছক্কা খাওয়ার পর শেষে ৫ বলে কোনো রান না দিয়ে আরিয়ানশ শর্মার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন নাহিদ। পরের ওভারের প্রথম বলে শরিফুল ফেরান আলিশান শারাফুকে। তবে এরপরই শুরু হয় বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য পতন।

শেষ ১০ বলে যখন ২৮ রান দরকার, তখন ১৯তম ওভারের শেষ ৪ বলে ১৬ রান দেন শরিফুল ইসলাম। এরপরেও শেষ ওভারে ১২ দরকার ছিল আরব আমিরাতের। তবে সেটা ডিফেন্ড করতে পারেননি তানজিম সাকিব। ১ বল হাতে রেখে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নেয় আরব আমিরাত।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৯০ রান তোলে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করেন তানজিদ হাসান তামিম। অন্যপ্রান্তে লিটন ছিলেন কিছুটা সাবধানী। এই দুজনের ব্যাটে পাওয়ারপ্লেতে ৬৬ রান তোলে বাংলাদেশ।

দশম ওভারের প্রথম বলে আউট হন তানজিদ তামজম। ৩ ছক্কা ও ৮ চারে ৩৩ বলে ৫৯ রান করে সগীর খানের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার।

দ্বিতীয় উইকেটেও ৩৫ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশ।  নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে লিটনের সেই জুটি ভাঙে ৪০ রান করে লিটনের বিদায়ে। সাবেক অধিনায়ক শান্তও এদিন ব্যাট করেছেন প্রায় দেড়শ স্ট্রাইক রেটে। ১৯ বলে ২৭ রান করে মোহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহর বলে আউট হন তিনি।

ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তাওহীদ হৃদয়ও। ২ ছক্কা ও ৩ চারে ২৪ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। শেষদিকে জাকের আলী ৬ বলে ১৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন। সেই ইনিংসে ভর করে ২০৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

আমিরাতের হয়ে জাওয়াদুল্লাহ ৩টি এবং সগীর নিয়েছেন দুটি উইকেট। সময়।