টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জয় উদযাপন যেনো থামছেই না দক্ষিণ আফ্রিকার। ২৭ বছর পর আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আনন্দে আত্মহারা প্রোটিয়ারা। লাকি গ্রাউন্ড লর্ডসে ফিরে আবারও সেলিব্রেট করেছে বাভুমার দল।
দক্ষিণ আফ্রিকার উৎসব থামার নয়। ২৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। আইসিসি ইভেন্টের শিরোপা উঠেছে হাতে। প্রোটিয়াদের কাছে সময়টা পরম আরাধ্যের। তাই তো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল শেষ হওয়ার ২ দিন পর আবারও লর্ডসে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। লাকি গ্রাউন্ডে সেলিব্রেট করে আরও এক দফা।
টেস্টের রাজদণ্ড হাতে বিভিন্ন ভঙ্গিমায় ছবি তোলেন শিরোপাজয়ী দলের প্রত্যেক সদস্য। ক্রিকেটার, কোচ, টিম স্টাফরাও। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর সবখানে ফেস্টিভ মুডে প্রোটিয়া বাহিনী। আফ্রিকানদের রূপকথার মঞ্চ লর্ডস ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না একদমই।
উইয়ান মুল্ডারের খুবই ভালো সময় কাটছে। এমন উদযাপনের সুযোগ আগে হয়নি। সবাই উচ্ছ্বসিত। সেলিব্রেশনের জন্য হোম অব ক্রিকেটের চেয়ে ভালো জায়গা আর কী হতে পারে! সবাই এ জয় উপভোগ করছে। কাইল ভেরেইন, ডেন প্যাটারসন, ডেভিড বেডিংহ্যাম আর অ্যাশওয়েল প্রিন্স হচ্ছেন সেলিব্রেশনের লিডার। তাদের থামানো যাচ্ছে না।
বিগ ফাইনালের আগে ক'জনই বা দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বাজি ধরেছিলেন! ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে প্রথম ইনিংস শেষে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ৭৪ রানে পিছিয়ে থাকায়, ঘুরে ফিরে আসছিলো 'চোকার্স' শব্দটা। কিন্তু, ২৮২ রানের টার্গেটে এইডেন মার্করাম আর টেম্বা বাভুমারা ব্যাট হাতে দেখিয়েছেন দৃঢ়তা। তবে, শুরু থেকেই প্রোটিয়াদের লড়াইয়ের রসদ জুগিয়েছেন ম্যাচের আনসাং হিরো- পেসার কাগিসো রাবাদা। দুই ইনিংসে নিয়েছেন ৯ উইকেট।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা গল টেস্ট দিয়ে শুরু হয়েছে চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র। আগের সাইকেল ভুলে ফ্রেশ স্টার্টের অপেক্ষায় অনেক দল। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকা আপাতত ফান মুডে। নিউ সাইকেল নিয়ে এখনও কোনো ভাবনা নেই বাভুমা বাহিনীর, তা বলে দেয়া যায় চোখ বন্ধ করে।