News update
  • Fire at UN climate talks in Brazil leaves 13 with smoke inhalation     |     
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     

বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি, সিরিজে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্রিকেট 2025-07-11, 8:00am

6d30654c2b3f6052140aa0403e2771d7e0b00742540ba705-5d5be757a97aa221192b96cfdc60696d1752199244.jpg




স্ক্রিনে চোখ না দিয়ে থাকলে পাল্লেকেল্লেতে বাংলাদেশের ৫ উইকেটে ১৫৪ রান দেখে পিচকে যে কারো কঠিন মনে হতেই পারে। ভুল ভাঙবে শ্রীলঙ্কার ইনিংস দেখলে, অন্তত স্কোরবোর্ডে তাকালেও। লক্ষ্য ছুড়ে দেয়া টাইগাররা ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাটুকু করতে পারেনি।

১৫৫ রানের লক্ষ্য পাওয়া শ্রীলঙ্কা এক ওভার হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে। তাতে ৩ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তারা। সিরিজের পরের দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ও ১৬ জুলাই।

বাংলাদেশি বোলারদের তুলাধুনা করে পাওয়ার প্লেতেই ৮৩ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। পরে অবশ্য রানের গতি কিছুটা কমে। ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন কুশাল মেন্ডিস। মেন্ডিস হাফসেঞ্চুরি করার আগে তার দ্বারপ্রান্তে ছিলেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। তাকে ৪২ রানে সাজঘরে পাঠান মেহেদী হাসান মিরাজ। দুই ওপেনারের জুটি হয় ৭৮ রানে। ২৪ রান করা কুশাল পেরেরা শিকার হন রিশাদ হোসেনের।

মেন্ডিস দলকে ১৪৮ রানে রেখে সাইফউদ্দিনের শিকার হন, শর্ট কাভারে লাফিয়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন শামীম হোসেন। ৫১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করেন তিনি। এরপর আভিস্কা ফার্নান্দো ও চারিথ আসালাঙ্কার ব্যাটে লঙ্কানরা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনের ৩৮ ও শামীম হোসেনের ১৪ রানের ক্যামিওতে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান করে বাংলাদেশ। পাল্লেকেল্লেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া টাইগাররা ইনিংস উদ্বোধনে নামে পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ তামিমের জুটিতে। তানজিদ ধীরগতিতে খেললেও শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন অন্য ওপেনার। ১৭ বলে ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হন তামিম। তখনও রানের চাকা সচল ছিল ইমনের ব্যাটে।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশ বলতে গেলে নিয়মিত বিরতিতেই পরের তিন উইকেট হারায়। দলীয় ৬৫ রানে লিটন কুমার দাস, ৬৭ রানে ইমন ও ৮৯ রানে বিদায় নেন তাওহীদ হৃদয়। অধিনায়ক লিটন ১১ বলে করেন মাত্র ৬ রান, হৃদয় ১৩ বলে ১০। এদের মধ্যে ইমনের ইনিংসটাই যা টি-টোয়েন্টিসুলভ। ২২ বলে ৫ চার ও এক চয়ে ৩৮ রান করেন তিনি।

একশর আগে যেতে পারত প্রায় দুই বছর পর দলে ফেরা নাইম শেখের উইকেটও। জেফ্রে ভেন্ডারসের বলে আম্পায়ার তাকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন, নাইম বেঁচে যান রিভিউ নিয়ে। বলটি লেগে পিচ করেছিল। এরপর নাইম ও মেহেদী হাসানের ৪৬ রানের জুটি হলেও সেটা ছিল কচ্ছপগতির। মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রান করে মহেশ থিকশানার বলে চারিথ আসালাঙ্কাকে ক্যাচ দেন।

৭ নম্বরে নামা শামীম পাটোয়ারি ২ ছক্কায় খেলেন ১৪ রানের ইনিংস, স্ট্রাইকরেট ২৮০। শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থাকেন তিনি। নাইম অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৩২ রান করে। শ্রীলঙ্কার হয়ে মহেশ থিকশানা ২ উইকেট নেন। একটি করে পান নুয়ান থুশারা, দাসুন শানাকা ও জেফ্রে ভেন্ডারসে।