News update
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     

এমপি আনারের খণ্ডিত মরদেহ খুঁজতে জাল নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে সিআইডি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-05-25, 3:43pm

gtwetyweywe-76c6c59a89a02dcfa5002c5efcb4ff5b1716630200.jpg




সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের খণ্ডিত মরদেহ খুঁজতে আবারও তল্লাশি চালাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (সিআইডি)। কসাই জিহাদ হাওলাদারের দেওয়া তথ্যানুয়ায়ী, আজ শনিবার (২৫ মে) সঞ্জিভা গার্ডেনে বিভিন্ন অংশে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা। 

আজীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বনগাঁ সীমান্ত থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা কসাই, খুলনার বাসিন্দা জিহাদ। পরে শুক্রবার আদালতের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির গোয়েন্দাদের কাছে খুনের পর ফ্ল্যাটেই দেহ টুকরো টুকরো করে লুকানোর লোমহর্ষক তথ্য স্বীকার করে সে। 

জিহাদকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহাবশেষ উদ্ধারের জন্য বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়-পোলেরহাট এলাকার ব্যাপক তল্লাশি চালায় সিআইডি। তবে মরদেহের কোনো অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ আবারও তল্লাশিতে নেমেছে সিআইডি।

কলকাতায় খুন হওয়া বাংলাদেশি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ অন্তত ৮০ টুকরা করা হয়। পরে তা ফেলা হয় খালসহ বিভিন্ন স্থানে। 

পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন জিহাদ হাওলাদার। সিআইডির আশঙ্কা, এমপি আনারের মরদেহের খণ্ডিত অংশ এরই মধ্যে হয়তো চলে গেছে বিভিন্ন জলজ প্রাণীর পেটে।

গত ২২ মে আনার হত্যা মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। এরপর গত বৃহস্পতিবার সিআইডি এই খুনের অন্যতম সন্দেহভাজন আসামি ‘কসাই’ জিহাদকে গ্রেপ্তার করে। পরে আজ জিহাদকে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন। 

মূলত আনারকে হত্যার জন্য ভারতের মুম্বাই থেকে ‘কসাই’ খ্যাত জিহাদ হাওলাদারকে কলকাতায় আনা হয়। কলকাতায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর আনোয়ারুলকে হত্যার পর কীভাবে তাঁর মরদেহ টুকরা টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়, তার রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

কসাই জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি জানিয়েছে, এমপি আনারকে হত্যার পর তার মরদেহ ৮০টি টুকরো করেন কসাই জিহাদ। এরপর সেই অংশগুলো ফেলা হয় কলকাতার উপকণ্ঠে অবস্থিত ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি এলাকার বাগজোলাখালির বিভিন্ন স্থানে। সিআইডির আশঙ্কা, এরই মধ্যে হয়তো আনারের দেহের খণ্ডিত অংশ জলজ প্রাণীদের পেটে চলে গেছে। 

সিআইডির কর্মকর্তারা বলছেন, ২৪ বছর বয়সী জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি অবৈধভাবে ভারতের মুম্বাইয়ে বাস করতেন। তাঁর বাড়ি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে। তাঁর বাবার নাম জয়নাল হাওলাদার। এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আক্তারুজ্জামান শাহীন দুই মাস আগে জিহাদকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলেন। 

সিআইডি বলছে, শাহীনের নির্দেশে জিহাদসহ চার বাংলাদেশি মিলে আনারকে ওই ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। তাঁর মরদেহ টুকরা টুকরা করে হলুদ ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে পথে কেউ ধরলে বলতে পারে, বাজার থেকে কেনা। উদ্দেশ্য ছিল, এভাবে গুম করা হবে, যাতে কেউ কোনো দিন তাঁর অস্তিত্ব না পায়। 

১৩ মে আমানউল্লাহ, জিহাদ ও সিয়াম দুটি স্যুটকেসে এমপির দেহের টুকরাগুলো ভরে পাবলিক টয়লেটের সামনে দাঁড়ানো একটি গাড়িতে ওঠেন। সেই গাড়ির চালকও তেমন কিছু জানতেন না। পরে সিয়াম ও জিহাদকে স্যুটকেসসহ বিদায় করে আমানউল্লাহ আবার ওই ফ্ল্যাটে চলে যান। পরদিন ওই তিনজন বাকি টুকরাগুলো পলিথিনে পেঁচিয়ে ব্যাগে ভরে ফ্ল্যাট থেকে বের হয়ে যান। এনটিভি নিউজ