News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

আনার হত্যা তদন্তে ১০ আসামির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ঘাঁটবে ডিবি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-06-03, 7:23pm

jhgewyri78-a3fe94c5e2e4514d73564343dae9c4631717421302.jpg




ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্যে অপহরণ সংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তার ও পলাতক ১০ আসামির ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুসন্ধানের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (৩ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান। শুনানি শেষে ডিবির আবেদনটি মঞ্জুর করেন আদালত।

আবেদনে ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তার-পলাতক আসামিদের এনআইডি ও পাসপোর্ট নম্বরের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কয়টা অ্যাকাউন্ট আছে, তার তথ্য সরবরাহের জন্য হেড অব বাংলাদেশ, এফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) বরাবর আদেশ প্রদান করতে আদালতের কাছে অনুরোধ জানানো হয় ডিবির পক্ষ থেকে।

এদিকে এখন পর্যন্ত মামলার আসামিরা হলেন- শিমুল ভূইয়া, শিলাস্তি রহমান, তানভীর ভূইয়া, আক্তারুজ্জামান শাহীন, মো. সিয়াম হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, ফয়সাল আলা সাজী, চেলসি চেরী, তাজ মোহাম্মদ খান ও মো. জামাল হোসেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মে পরিবারকে চিকিৎসার কথা বলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত হয়ে ভারতে যান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ এ সংসদ সদস্য।

প্রায় ১০ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত বুধবার ২২ মে আনার হত্যার বিষয়টি সামনে আসে। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা কসাই জিহাদ হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি জানতে পারে, এমপি আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়েছে কলকাতার ভাঙ্গড় এলাকার কৃষ্ণমাটি ও জিরানগছা খালে।

এ তথ্যের ভিত্তিতে কৃষ্ণমাটি ও জিরানগাছার বাগজোলা খালের পানিতে নামানো হয়েছিল কলকাতা পুলিশের দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যদের। কিন্তু সেখান থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয় তদন্তকারীদের। নিজেদের কাছে থাকা উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহার করেও মরদেহের টুকরো উদ্ধার করতে পারেনি তারা।

এরই মধ্যে আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিন আসামি— শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর ভিত্তিতে হত্যা-রহস্য উদঘাটন ও ভারতের তদন্ত দলকে সহায়তার জন্য ২৬ মে প্রতিনিধি দল নিয়ে কলকাতায় যান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সেখানে অবস্থানকালে তিনি কলকাতা সিআইডিকে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়া বাড়ির সুয়ারেজ লাইন, কমোড ও সেপটিক ট্যাংক ভেঙে দেহাংশের সন্ধান করতে অনুরোধ করেন।

হারুন অর রশীদের অনুরোধে ২৮ মে বিকেলে কলকাতা পুলিশ ভবনটির স্যুয়ারেজ লাইন ও সেপটিক ট্যাংকে দেহাংশের খোঁজে অভিযান চালায়। সেদিনই সঞ্জীবা গার্ডেনসের যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয়, সেটির সেপটিক ট্যাংক থেকে বেশকিছু মাংসের টুকরো উদ্ধার হয়।

তবে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো এমপি আনারের কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেগুলো ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। যদি ফরেনসিক টেস্টে প্রমাণ হয় যে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো মানুষের, তাহলে সেগুলো এমপি আনারের কি না তা জানার জন্য তার মেয়ে কিংবা ভাইকে ডিএনএ টেস্টের জন্য কলকাতায় ডাকা হতে পারে। আরটিভি