News update
  • Bumper harvest of Jujube in Ramu Upazila     |     
  • Govt urged to offer scholarships to Palestinian students     |     
  • Caretaker Govt Review Hearing on Supreme Court Cause List     |     
  • Bangladesh Single Window to Launch by March: Lutfey Siddiqi     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     

যশোরের অভয়নগরে পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু নিয়ে যা জানা গেলো

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-06-04, 1:07pm

fasfasfas-c5b738db6e47d8c8fea63a9074e62ec61717484874.jpg




বাংলাদেশের যশোরের অভয়নগর উপজেলায় পুলিশ হেফাজতে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আফরোজা বেগম নামে ওই নারীকে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছে ৩০টি ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওইদিন গ্রেপ্তারের পর অভয়নগর থানা হাজতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। রোববার সকালে থানা হাজতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আফরোজা বেগম। চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আবার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরপর আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তখন উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।

এটি যশোর সদর হাসপাতাল নামে পরিচিত। হাসপাতালে নেয়ার পর রোববার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “রোগী অসুস্থ হলে প্রথমে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে ডাক্তাররা দেখে তার প্রেশার ২২০/১১০। পরে তারা রেফার করলে পুলিশ আমাদের এখানে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। এখানে জরুরি বিভাগের ডাক্তাররা জানান সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার কারণে রোগী মারা গেছেন।”

মৃত আফরোজা বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানানো হয়েছে।

ঘটনার আদ্যোপান্ত

অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের আবদুল জলিল মোল্লার স্ত্রী আফরোজা বেগম।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে আফরোজা বেগমের ছোট ছেলে সাব্বির মোল্লা অভিযোগ করেন শনিবার রাতে সাড়ে এগারটার পরে পুলিশ বাড়িতে এসে তল্লাশি চালিয়ে তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেয়।

বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, “সাড়ে এগারটার দিকে ভাত খাওয়ার জন্য আম্মু পানি আনতে যাচ্ছিল। ওই সময় আব্বুকে খুঁজতে এক লোক আসে। আম্মু বলে আব্বু ইজি-বাইক স্ট্যান্ডে। পরে আব্বুকে এনে কথা বলার পর আব্বু আবার চলে যায়। সেই লোক আবার আসে। আম্মু পানি আনতে গেছিল। ওখান থেকে আসার পরে ওইসময় পাঁচ ছয়জন পুলিশ ও তাদের সোর্সসহ দশজনের মতো ঘরে ঢুকলো।”

এ সময় উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সহকারী উপ-পরিদর্শক সিলন আলী, এএসআই শামসুল হক ও নারী কনস্টেবল রাবেয়া খানম অভিযানে তল্লাশি চালান।

মি. মোল্লা বলেন, “আব্বুর পরিচিত যে লোক আসছিল তার পকেট থেকে কী জানি পায়। পরে আম্মুকে সার্চ করে, বাড়িতেও করে। বলে তোমার কাছে কী আছে দাও। যার পকেট থেকে কিছু পায় তাকে ছেড়ে দেয়। পরে আম্মুকে বলে কিছু পাইলেও আজকে মামলা দিবো, না পেলেও মামলা দিবো। পাঁচজন পুলিশ ছিল তারা। তাকে খালি চড় থাপ্পড় মারছিল। আম্মু বারবারই বলছিল আমার কাছে কিছু নাই।”

এক পর্যায়ে আফরোজা বেগমকে ফ্যানের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন মি. মোল্লা। একইসাথে মাকে চড়-থাপ্পড় মারার সময় ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

“আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। সিলন দারোগা আম্মুর কাছে কিছু না পাওয়ার পরও তাকে মাথায়, মুখে চড় মারে। পরে কিছু না পেয়ে মহিলা পুলিশ আসার পর তাকে ঘরের ভেতরেই ফ্যানের সাথে চুল বেঁধে ফ্যান চালু করে দেয় সিলন দারোগা,” বলেন মি. মোল্লা।

অজ্ঞান অবস্থায় রাত আনুমানিক দুইটায় তাকে পুলিশ গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।

আফরোজা বেগমের স্বামী আবদুল জলিল মোল্লা পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়ি থেকে টাকা লুট করে নেয়ার অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “আমার ঘর লুট হয়ে গেল, পুলিশ আমার গাড়ি বেচার টাকা সব নিয়ে গেল, বউয়ের সোনাদানা নিয়ে গেল। এক সপ্তাহ আগে গাড়ি বিক্রি করে এক লাখ ৮৮ হাজার টাকা বাসায় ছিল।”

“আমার বাচ্চারা এখন মানুষ হবে কীভাবে? আমাকে নিয়ে যেত আমার আফসোস ছিল না,” বলেন মি. মোল্লা।

প্রতিবেশীরা জানান, ঘটনার দিন শনিবার রাতে কয়েকজন পুলিশ আফরোজা বেগমের ঘরে তল্লাশি চালায়। দুই রুমে তল্লাশি চালিয়ে কিছু পায়নি তারা। পরের দিন সকাল সাড়ে এগারটায় আফরোজা বেগমের মারা যাওয়ার খবর শোনেন প্রতিবেশীরা।

বড় ছেলে মুন্না মোল্লা জানান, “রোববার সকালে মায়ের জন্য থানায় নাশতা দিতে গিয়ে শুনি তার শরীর খারাপ। প্রথমে তাকে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক ওষুধ লিখে দেন এবং কিছু পরীক্ষা করতে দেন। কিন্তু তা করতে দেয়া হয়নি। পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িতে আমিও ছিলাম। পথে মায়ের শরীর ঠান্ডা হয়ে যায়। হাসপাতালে আনার পর জানতে পারি মা মারা গেছে।”

আফরোজা বেগমের ভাই নুর ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, “এ ঘটনায় আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।”

যশোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ওনার পোস্টমর্টেম হয়েছে। পরে ডাক্তারের সাথে কথা বলে জেনেছি কোনো নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট প্রসেসিং হচ্ছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেতে একটু সময় লাগবে। হয়তো দুই - একদিনের মধ্যে রিপোর্ট পুলিশের হাতে সিভিল সার্জনের মাধ্যমে হস্তান্তর করবো।”

একইসাথে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আফরোজা বেগমের মৃত্যু হয়েছে বলে ডেথ সার্টিফিকেটও দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

পুলিশ যা বলছে

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে আফরোজা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছে ৩০টি ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, “মাদক, ইয়াবাসহ আগের দিন রাতে তাকে ধরা হয়। রাত দুইটায় থানায় মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী নারী পুলিশসহ থানায় ছিল। সিসিটিভি ক্যামেরাও আছে আমাদের কাছে।”

“রোববার সকালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রেসার বেশি দেখে তারা ২৫০ বেডের যশোর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। সেই রেফার করা মেডিকেল স্লিপ নিয়ে পরে ১১টা ২৫ মিনিটের দিকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।”

“সেখানে আনার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১টা ৩৫ মিনিটের দিকে মারা যায়। এটা কিন্তু এমন না যে পুলিশের হাতে মারা গিয়েছে,” বলেন মি. ইসলাম।

অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সদর হাসপাতালে নেয়ার সময় আফরোজা বেগমের ছেলেও সাথে ছিল বলে জানায় পুলিশ। আফরোজা বেগমকে থানায় বা পুলিশের কেউ মারধর করেনি বলে ওই সময় তিনি ছেলেকে জানিয়েছেন এবং এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট পুলিশের কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন মি. ইসলাম।

এছাড়া, কোনো ধরনের সন্দেহের উদ্রেক এড়াতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে সুরতহাল করানো হয়েছে। সাধারণত পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট করে। একইসাথে সুরতহালের সময় আফরোজা বেগমের ছেলে ও স্বামীর উপস্থিত ছিল বলে জানায় পুলিশ।

মি. ইসলাম বলেন, “কোনো ধরনের অস্বাভাবিক বিষয় পরিলক্ষিত হয়নি বলে সুরতহাল রিপোর্টে বলেন ম্যাজিস্ট্রেট”।

একইসাথে ময়নাতদন্ত করার পরামর্শ দেয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে লাশ দাফন করা হয়।

এছাড়া অপমৃত্যুর একটি মামলাও হয়েছে বলে জানান মি. ইসলাম। যদি ময়নাতদন্তে কোনো কিছু আসে তখন আইনানুযায়ী মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।

মি. ইসলামের দাবি আফরোজা বেগমের পরিবার মাদক ব্যবসায়ী, পূর্ব ইতিহাস রয়েছে।

তবে, থানায় আনার পর কোনো ধরনের দুর্ব্যবহার করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকীকে প্রধান করে এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান মি. ইসলাম।

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় আফরোজা বেগমের বিরুদ্ধে অভয়নগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।

হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে আইনে যা আছে

বাংলাদেশে ২০১৩ সালের ২৭শে অক্টোবর নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন জাতীয় সংসদে পাশ হয়।

আইনটি করার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলা হয়েছে, নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা অমর্যাদাকর আচরণ অথবা শাস্তির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সনদের কার্যকারিতার জন্য এই আইন প্রণয়ন করা হয়।

কারণ বাংলাদেশের সংবিধান এবং জাতিসংঘ সনদে নিষ্ঠুর, অমানবিক ব্যবহার অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে নিজ নিজ দেশে আইন প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশে নিষ্ঠুর ও লাঞ্ছনাকর আচরণ বা শাস্তি থেকে মুক্ত থাকার বিষয়ে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা থাকার পরও প্রায়শই এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ ওঠে।

বিশেষ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার বা আটক করার পর হেফাজতকালীন সময়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়ের ক্ষেত্রে এই ধরনের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।

২০১৩ সালেই ৭২ জন বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য কর্তৃক নির্যাতনমূলক সব কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে জাতীয় সংসদে একটি খসড়া বিল উত্থাপন করা হয়। পরে নিবারণ আইন পাশ করে জাতীয় সংসদ।

হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি সম্পর্কে আইনটিতে বলা হয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি ন্যূনতম পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তি অতিরিক্ত ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিগ্রস্ত অথবা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেবেন।

হেফাজতে নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হলে শাস্তি সম্পর্কে আইনে বলা হয়েছে, যদি তার মৃত্যু হয় তাহলে নির্যাতনকারীকে ন্যূনতম যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

অথবা ন্যূনতম এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। একইসাথে অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত অথবা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদেরকে ক্ষতিপূরণ দেবেন নির্যাতনকারী।

এই আইনে নির্যাতনে সহায়তাকারী, নির্যাতন করতে যারা চেষ্টা করেছে, সাহায্য বা প্রলোভন দেখিয়েছে বা নির্যাতনের ষড়যন্ত্র যারা করে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

এদের শাস্তির বিষয়ে আইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। অথবা ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

অন্যান্য আইনে যেমন ভুক্তভোগী নিজে অথবা তার পরিবারকে মামলা করতে হয় এই আইনে সেই বিধানও শিথিল করা হয়েছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিক আদালতে অন্য ব্যক্তিকে হেফাজতে নির্যাতন করা হয়েছে এমন অভিযোগ করতে পারবেন।

বাংলাদেশে হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন হওয়ার পর প্রথমবার ২০২০ সালে একটি মামলার রায় হয়।

ঢাকার মিরপুরের পল্লবী থানায় জনি নামে এক ব্যক্তি হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যুর পর এ মামলায় ওই থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক জাহিদুর রহমানসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়। আরও দুই আসামিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে আফরোজা বেগমের ঘটনাসহ গত ছয়মাসে কারা হেফাজতে ৭২ জন মারা গিয়েছে।

সংগঠনটির তথ্য বলছে, এ বছরের জানুয়ারি মাসে কারা হেফাজতে ১৯ জন মারা গেছেন। পরের মাসেও মারা গেছেন ১৯ জন। মার্চ মাসে ১২ জন এবং এপ্রিল মাসে ১০ জনের কারা হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া মে মাসে এগার জন কারা হেফাজতে মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজন পাকিস্তানি নাগরিক ও একজন নারী রয়েছে। বিবিসি বাংলা