News update
  • India wins ICC Champions Trophy for the third time     |     
  • Arrest warrant against 3 cops over Rampura mass killings     |     
  • CA to Visit China, Thailand, and Japan to Strengthen Global Ties     |     
  • OIC Resolution to Address Israeli Aggression Against the Palestinian People      |     
  • 1,000+ Dead in Clashes Between Syrian Forces and Assad Loyalists     |     

সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম: বাংলাদেশ নিয়ে ভলকার তুর্ক 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-03-07, 11:56am

ewrewrqr-f149b526a6a1293244b3c5ea5b643fd01741326988.jpg




বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় দমনপীড়নে অংশ না নিতে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক।

সম্প্রতি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের হার্ডটক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান। সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইটে বুধবার (৫ মার্চ) অনুষ্ঠানের এ পর্ব প্রকাশ করা হয়। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎকারভিত্তিক এই অনুষ্ঠানে ভলকার তুর্কের সঙ্গে কথা বলেন বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার।

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার আমলে ছাত্রদের আন্দোলন দমনে ব্যাপক নিপীড়ন চলছিল উল্লেখ করে ভলকার তুর্ক বলেন, তাদের জন্য বড় আশার জায়গা ছিল আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি এবং আমরা ওই পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করি। আমরা প্রকৃতপক্ষে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করি, যদি তারা এতে জড়িত হয়, তার অর্থ দাঁড়াবে তারা হয়ত আর শান্তিরক্ষী পাঠানোর দেশ থাকতে পারবে না। ফলশ্রুতিতে আমরা পরিবর্তন দেখলাম।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘকে ক্ষমতাহীন মনে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিবিসির উপস্থাপক স্টিফেন সাকার। জবাবে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে ভলকার তুর্ক বলেন, আপনি জানেন, গত বছরের জুলাই-আগস্টে ব্যাপক আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থীরা। শেখ হাসিনার সরকার দমনপীড়ন চালিয়েছিল। তাদের (ছাত্ররা) জন্য বড় আশার জায়গা ছিল আসলে আমরা কী বলি, আমি কী বলি, আমরা কী করতে পারি এবং আমরা ওই পরিস্থিতির ওপর আলোকপাত করি। আমরা সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিলাম, যদি তারা জড়িয়ে পড়ে তাহলে আর শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী হিসেবে থাকতে পারবে না। ফলে আমরা পরিবর্তনটা দেখতে পেলাম। ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের দায়িত্ব নিলেন। ফলে স্পটলাইটে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা আমরা এখানে দেখলাম।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের কার্যক্রম প্রসঙ্গে ভলকার তুর্ক বলেন, অধ্যাপক ইউনূস যখন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নিলেন, তিনি আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে বললেন, আপনি কি একটি তথ্যানুসন্ধানী দল পাঠাতে পারেন, পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিতে পারেন এবং সেখানে যা ঘটছি, তা তদন্ত করতে বললেন। আমরা এগুলোই করেছিলাম। এবং এটা কার্যত সাহায্য করেছিল।

তিনি আরও বলেন, আমি গত বছর বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। আমরা একটি অবস্থান নেওয়ায়, আমরা কথা বলায় এবং তাদেরকে সহযোগিতা করায় ছাত্ররা আমাদের প্রতি খুব কৃতজ্ঞ ছিল।

সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির সহায়তা বন্ধের বিষয়ে ভলকার তুর্ক বলেন, এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলোর ওপর এর প্রভাব পড়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ওয়াশিংটনের এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা হবে। কারণ, ইউএসএআইডি এবং বিদেশি সহায়তা বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সুদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, সিরিয়ায় মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পাশের দেশগুলোতে থাকা সহিংসতার শিকার মানুষগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। সিরিয়া ও লেবাননের ক্ষেত্রে এটা রয়েছে। 

ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে ভলকার তুর্ক বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ করতে তারা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফিলিস্তিনের গাজার পরিস্থিতিকে বিপর্যয়কর উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, সেখানে যা ঘটছে, তা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন।

এক প্রশ্নের উত্তরে ভলকার তুর্ক জানান, এর ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বারবার সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। বর্তমানে ৫৯টি দেশে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতার পেছনে ভূরাজনৈতিক কারণ দায়ী।আরটিভি