News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

মার্কিন সহায়তা হ্রাসে আরও জটিল হয়েছে রোহিঙ্গা সংকট: প্রধান উপদেষ্টা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-04-23, 1:44pm

retewtewrew-86f6edd2e2494b67bb7a6fcdb75895d71745394254.jpg




যুক্তরাষ্ট্র তার বিদেশি সহায়তা হ্রাস করায় বিদ্যমান রোহিঙ্গা সংকট আরও জটিল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে টেকসই প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ সংকট স্থায়ীভাবে সমাধানের তাগিদও দিয়েছেন তিনি।  

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দোহায় কাতার ফাউন্ডেশন আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট ও বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী বিষয়ে গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্যকালে এসব বিষয় উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টা।

লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা সংকট কেবল একটি মানবিক সমস্যা নয়; এটি একটি বহুমাত্রিক সংকট, যার সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত প্রভাব রয়েছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রায় ১৩ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিককে (রোহিঙ্গা) আশ্রয় দিয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৩২ হাজার নবজাতক যুক্ত হচ্ছে। নানা চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শুধু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিচ্ছে। বাংলাদেশ মনে করে, এ সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে টেকসই প্রত্যাবাসন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। আরাকান আর্মি (এএ) বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৭১ কিমি এবং রাখাইনের ১৭টির মধ্যে ১৪টি টাউনশিপ নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির তথ্যানুযায়ী, রাখাইনে মোট অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১ জন রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা দীর্ঘমেয়াদে ২১টি ক্যাম্প ও তিনটি গ্রামে বসবাস করছে। নতুন করে বাস্তুচ্যুত ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮০৫ জন (অধিকাংশ রাখাইন) ১ হাজার ২১৯টি স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আরাকান আর্মির হামলার মুখে ৯০৯ জন মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে ৮৭৫ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং ৩৪ জনকে শিগগির পাঠানো হবে।

অর্থায়ন সংকট সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, দুঃখজনকভাবে, রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় যৌথ সহায়তা পরিকল্পনার (জেআরপি) অর্থায়ন ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। ২০২৪ সালে জেআরপি ৮৫২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার আহ্বান করা হলেও প্রাপ্ত অর্থ ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ অর্থাৎ ৫৪৮ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলার। ২০২৫-২৬ সালের জেআরপি ২০২৫ সালের ২৪ মার্চ শুরু হয়। এর আওতায় ১৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষ রোহিঙ্গা ও কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দিতে প্রয়োজন ৯৩৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র তার বিদেশি সাহায্য হ্রাস করায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, সম্প্রতি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে খাদ্য সহায়তা বন্ধ করতে পারে। তবে, তাৎক্ষণিক অর্থায়ন জোগাড় করে তা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা গেছে। কিন্তু, সেপ্টেম্বর থেকে আবার তহবিল সংকটের আশঙ্কা রয়েছে। অর্থায়ন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ। আশা করি কাতার এই দিক থেকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।আরটিভি