News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

১৮ মাসে বাংলাদেশে এসেছে আরও দেড় লাখ রোহিঙ্গা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-07-11, 7:02pm

9a4ff81ceeaf64a44500d0e6636be2ea7e331a1269654ce4-8075116071c4562549612e075b2699321752238978.jpg




মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে গত দেড় বছরে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত এবং বিশেষ করে রাখাইন রাজ্যকে লক্ষ্যবস্তু করায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।

২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনযজ্ঞের মুখে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। গত কয়েক মাসে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। ইউএনএইচসিআর ও অন্যান্য দাতা সংস্থা এসব শরণার্থীকে মানবিক সহায়তা দিতে কাজ করে যাচ্ছে।

ইউএনএইচসিআর বলেছে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে উদারভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। কক্সবাজারে মাত্র ২৪ বর্গকিলোমিটারে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। দেড় বছরে আরও দেড় লাখ যুক্ত হয়েছে। ফলে এলাকাটি বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানের একটিতে পরিণত হয়েছে।

নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২১ হাজার জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। এসব শরণার্থীর বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এদের অধিকাংশই জনাকীর্ণ শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছে।

সংস্থাটি বলছে, শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা মূলত সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। ফলে নতুন করে শরণার্থী যোগ হওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। যারা নিবন্ধিত শরণার্থী তাদের মানবিক সহায়তা প্রদান করছে দাতা সংস্থাগুলো। তবে যারা নিবন্ধনের আওতায় আসেনি; তাদের কাছে খাবার, চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা ও প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রীসহ মৌলিক পরিষেবা পৌঁছানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবকদের।

ইউএনএইচসিআরের শঙ্কা, বর্তমানে বৈশ্বিক সহায়তা তহবিল তীব্র সংকটের মধ্যে রয়েছে। এ অবস্থায় নতুন শরণার্থী বৃদ্ধি পেলে জরুরি পরিষেবা শৃঙ্খল ভেঙে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে। শিগগির অতিরিক্ত তহবিল নিশ্চিত না করা হলে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং প্রয়োজনীয় রান্নার জ্বালানি (এলপিজি) ফুরিয়ে যাবে।

ডিসেম্বরের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার শিশুর শিক্ষাসুবিধা বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। আর এদের মধ্যে প্রায় ৬৩ হাজার নতুন করে বাংলাদেশে আসা শিশু। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সংহতি প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে।