News update
  • Dhaka's air quality in 'moderate' range on Saturday morning     |     
  • Deadly Floods Displace Over 100,000 in South Sudan     |     
  • Nepal has first woman Prime Minister as March elections set     |     
  • 50 Killed as Israel Intensifies Strikes on Gaza City     |     
  • UN General Assembly Endorses New York Declaration on Two-State Solution     |     

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের ভাষণে স্বাধীনতার উপর গুরুত্ব প্রদান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-05-14, 6:59am




দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল ক্ষমতা গ্রহণের পর দেওয়া তার প্রথম ভাষণে, ৩৫ বার “স্বাধীনতা” শব্দটির কোরিয়ান প্রতিশব্দ ব্যবহার করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার প্রশাসনকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্র নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলেছেন বলে, মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতি মানবাধিকার এবং উদারপন্থী গণতান্ত্রিক দেশগুলোর একটি জোট গঠনকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ইয়ুন বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূল আদর্শ হল স্বাধীনতা” এবং দক্ষিণ কোরিয়া এবং উদার গণতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাসী অন্যান্য দেশের জন্য “সর্বোচ্চ গুরুত্বের” বিষয় হল যে, তাদেরকে পৃথিবীর একাধিক চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে, যার মধ্যে খাদ্য এবং জ্বালানী সংকট, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার সমস্যা এবং সশস্ত্র সংঘাত রয়েছে।

ব্রুস ক্লিংগার কোরিয়ায় সিআইএ’র সাবেক সহকারী ডিভিশন প্রধান এবং বর্তমানে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো। তিনি বলেন, “ইয়ুন এর ভাষণ তার পররাষ্ট্র নীতিকে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক প্রথাগত আচরণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করার তার ইচ্ছাকেই প্রতিফলিত করেছে।”

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, “তিনি এটা পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তার পূর্বসূরি মুন জে-ইন এর মত করে, তিনি উত্তর কোরিয়া এবং চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন, জাতিসংঘের প্রস্তাব লংঘন এবং অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপের প্রতি নিন্দা জানাতে পিছপা হবেন না।”

দক্ষিণ কোরিয়া স্বৈরতান্ত্রিক তিন দেশ, উত্তর কোরিয়া, চীন এবং রাশিয়া দ্বারা পরিবেষ্টিত। ১৯৫৩ সালে এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে কোরিয়ার যুদ্ধে লড়াইয়ের অবসান হলে, দক্ষিণ কোরিয়া নিজ দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করে।

ভিওএ’র কোরিয়ান সার্ভিস, ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস এবং নিউইয়র্কে জাতিসংঘের দফতরে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক মিশনের সাথে ইয়ুন এর ভাষণের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করে। তাদের কেউই তাতে সাড়া দেয়নি। তথ্য সূত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।