News update
  • Prosecution Seeks Highest Penalty for Sheikh Hasina     |     
  • Over Half a Million Students Fail HSC, Equivalent Exams     |     
  • BGMEA says Mirpur fire was not in formal apparel sector units     |     
  • Fire at Shialbari Mirpur, Dhaka chemical godown under control      |     
  • Khaleda admitted to Evercare for health check-ups     |     

তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী বন্ধে আইন সংশোধন চান দোকান ব্যবসায়ীরা

খবর 2022-05-19, 8:26pm

বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নিজ কার্যালয়ে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দের সাথে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের এক যৌথ মতবিনিময় সভা



বিদ্যমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’-এ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচার পুরোপুরি নিষিদ্ধ হলেও বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী বন্ধে সুনির্দিষ্ট কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আর এ সুযোগে তামাক কোম্পানীগুলো বিক্রয়কেন্দ্রে দ্রব্য প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রকারন্তরে দ্রব্যের প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। আর এজন্য বর্তমান আইনের সংশোধন চান বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (এসবিডব্লিউএস) এর নেতৃবৃন্দ। ১৯ মে রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নিজ কার্যালয়ে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দের সাথে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের এক যৌথ মতবিনিময় সভায় এ কথা বলা হয়।

বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. নাজমুল হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান, ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (পশ্চিম) এর সভাপতি নাসির উদ্দিন বাবুল, ঢাকা মহানগর দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি (পশ্চিম) এর সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন, কদমতলী থানা দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা খান, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান প্রমুখ। 

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রোগ্রাম অফিসার শারমিন আক্তার রিনির সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোঃ শরিফুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধে তামাক কোম্পানী তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শনের মাধ্যমে কিভাবে তামাকের প্রতি তরুণদেরকে আকৃষ্ট করছে তা তুলে ধরা হয়। 

মতবিনিময় সভায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের উপ-পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি অনেক বাড়ায়। বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন করলে শিশু ও যুবকরা আকৃষ্ট হয়। তাই বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শন ও সিঙ্গেল স্টিক সিগারেট বা বিড়ির বিক্রি বন্ধ করা গেলে তামাকের ব্যবহার অনেকাংশেই কমে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর এজন্য আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করারও জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুর রহমান বলেন, দেশের বিভিন্ন মার্কেটে আমরা তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন ও বিক্রয় বন্ধ করার জন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অনেক ক্ষেত্রে তা সফলও হয়েছে। আগামীতেও মার্কেটগুলোতে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন ও বিক্রয় বন্ধে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ দোকান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. নাজমুল হাসান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে আইনী সংশোধনের মাধ্যমে বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন ও খুচরা বিক্রয় বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। -  প্রেস রিলিজ