News update
  • Myanmar Faces War, Disasters, Hunger, and Mass Displacement     |     
  • UN Warns Israeli Doha Strike Risks Regional Escalation     |     
  • Nepal protesters' families seek justice amid confusion     |     
  • Next polls in Feb "foundational” to set future course of BD     |     
  • Fuel oil crisis hits 5 N districts as Rangpur depots run dry     |     

সেমাই-চিনি ও সুগন্ধি চালে স্বস্তি, মাংসের বাজার চড়া 

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-03-30, 7:08pm

img_20250330_190630-540ff0094eb3b95775e117aad674d2041743340121.jpg




ঈদের দিন শহর ও গ্রাম সর্বত্রই অতিথি আপ্যায়নের প্রধান অনুষঙ্গ সেমাই। প্রতিবছর ঈদ সামনে রেখে বাজারে এই পণ্যের সরবরাহ বাড়ে, সেই সঙ্গে বেড়ে যায় দাম। তবে এবার সেমাইয়ের দাম তেমন বাড়েনি। চিনি এবং সুগন্ধি চালের দামেও আছে স্বস্তি। তবে অন্য কয়েকটি পণ্যের দর কিছুটা বেড়েছে। তবে সব ধরনের মাংসের দাম বেড়েছে।

এ বছর সেমাই, চিনি ও সুগন্ধি চালের দাম স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে রয়েছে। বাড়েনি বরং গত বছরের চেয়ে কমেছে। যদিও তরল ও গুঁড়া দুধের দাম কিছুটা বেড়েছে। ভোক্তারা সাধ্যমতো মুদিপণ্যের কেনাকাটা করেছেন। পোলাওর চালের পাশাপাশি সেমাই, চিনি, মসলাপাতি কিনছেন। এই কেনা-বেচা চাঁদ রাত পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

রোববার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাচ্ছা সেমাইয়ের ২০০ গ্রামের প্যাকেট কোম্পানিভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কোম্পানির চিকন সাদা সেমাইও ২০০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ৪৫ টাকা। আর ঘিয়ে ভাজা বা স্পেশাল ৪০০ গ্রামের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া খোলা লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়। খোলা চিকন সেমাই ১২০-১৮০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত বছরও সেমাইয়ের দাম একই রকম ছিল বলে জানান বিক্রেতারা।

খিলগাঁও তালতলা বাজারে বিক্রমপুর স্টোরের কর্ণধার আব্দুর রশিদ বলেন, সেমাইয়ের দাম গত বছর যা ছিল এ বছরও তাই রয়েছে। বরং খোলা সেমাই এর দাম অনেকটা কমেছে।

অন্যদিকে বাজারে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। গতবার ঈদের আগে এ চিনি কিনতে হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। একইভাবে ভালো মানের সুগন্ধি চাল ১১৫-১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত বছরের ঈদের আগের চেয়ে প্রায় ২০ টাকা কম।

তবে বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি লিটার তরল দুধ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ ২১ মার্চ রাষ্ট্রীয় দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা) তরল দুধের দাম বাড়ায়। তাতে আধা লিটার প্যাকেটের দুধের দাম ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ টাকা এবং এক লিটার প্যাকেটের দুধের দাম ৯০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে।

অন্যদিকে বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি গুঁড়া দুধ ৮২০ থেকে ৮৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেমন বাজারে এখন প্রতি কেজি ডিপ্লোমা দুধ ৮৬০ টাকা, ফ্রেশ দুধ ৮১০–৮২০ টাকা ও স্টারশিপ ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অনেকেই ঈদের বাজার করছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের ভিড় দেখা গেছে গরু, খাসি ও মুরগির মাংস বিক্রির দোকানে। বাজারভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৮৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।

ঈদ সামনে রেখে অনেকেই সাধ্যমতো গরুর মাংস কিনছেন। খাসি ও ছাগলের মাংসের চাহিদা কম হলেও ক্রেতার সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। এ ছাড়া ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির বেচাকেনাও অনেক বেড়েছে।

বিক্রেতারা জানান, গত দুই দিনের মধ্যে বাজারভেদে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ঢাকার শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও টাউন হল বাজার ঘুরে ৬৮০ টাকা থেকে ৮৫০ কেজি গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। মোটামুটি এক দামেই গরুর মাংস বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। চাহিদা বেশি থাকায় দর-কষাকষির সুযোগ কম। 

টাউন হল বাজারে গরুর মাংস কিনতে আসেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা রাইসুল ইসলাম। মাংসের বেশি দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আগামীকাল ঈদ হতে পারে। আজ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এ বাজার (টাউন হল) থেকে কিনেছি। এখন গরুর মাংস কিনতে এসে দেখি ৮৫০ টাকা কেজি। এটা তো অনেক বেশি দাম। এখন অন্য বাজারেও যেতে পারছি না দেখে বাধ্য হয়ে এ দামে মাংস কিনতে হচ্ছে।

এক মাংস বিক্রেতারা জানান, ঈদ কেন্দ্র করে গরুর মাংসের বিক্রি কয়েক গুণ বেড়েছে। প্রতিবছরই ঈদের আগে বেচাকেনা তিন-চার গুণ বৃদ্ধি পায়। এবারও তা-ই হয়েছে। গতকাল শনিবার মোট পাঁচটি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে তার দোকানে। আর আজ বেলা ১১টার মধ্যেই পাঁচটি গরু বিক্রি শেষ হয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আজ প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা। যেমন ঢাকার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আবার আগারগাঁও তালতালা ও টাউন হল বাজারে সেটি ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের বিসমিল্লাহ খাসির মাংসের দোকানের স্বত্বাধিকারী আনোয়ার হোসেন জানান, এবারের ঈদে অন্যান্য বছরের তুলনায় খাসি ও ছাগলের মাংস আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। কারণ, দাম বেশি। ফলে অনেকেই পরিমাণে কম কিনছেন বা গরু কিনছেন। ঈদ উপলক্ষে খাসি ও ছাগলের মাংসে কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা দাম বেড়েছে।

ঈদের আগের দিন আজ রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগির দাম রাখা হচ্ছে ৩৩০ টাকা। অবশ্য পাড়া-মহল্লায় এ দাম কেজিতে আরও ১০ টাকা বেশি দেখা গেছে। আর কারওয়ান বাজারে দাম ১০ টাকা করে কম রয়েছে। সব কটি বাজারেই মুরগির দোকানেও ক্রেতাদের বাড়তি ভিড় দেখা গেছে। আরটিভি