News update
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     
  • China calls for implementation roadmap for new finance goal     |     

ঘাটতি না থাকলেও কেন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-04-22, 11:09am

erweqwe-7f297438ac5e1d1a422723660d1a1dce1745298599.jpg




দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় অস্থির পেঁয়াজের বাজার। ভরা মৌসুমে দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মজুতের প্রবণতাকে সামনে আনছেন পাইকার-আড়তদাররা। তবে এটিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন না কৃষি কর্মকর্তারা। বরং উৎপাদন খরচের বিপরীতে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পাশাপাশি বছরজুড়ে চাহিদা-জোগানের ভারসাম্য হিসেবে দেখছেন তারা। এদিকে, বর্তমান দামকে যৌক্তিক উল্লেখ করে অতিরিক্ত মজুত ঠেকাতে সরকারকে সজাগ থাকার তাগিদ কৃষি অর্থনীতিবিদের।

পেঁয়াজ। সব সময়ই খাবারের স্বাদ বাড়ালেও, মাঝেমাঝেই দামের ঝাঁজে চলে যায় ক্রেতার নাগালের বাইরে। ভোক্তারা বলছেন, বাজারে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না; তবু হঠাৎ করে দাম বাড়ছে। যা ভোক্তাদের জন্য অস্বস্তিদায়ক।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য, সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা। মাস ব্যবধানে ২৫ টাকারও বেশি। কারণ হিসেবে মজুত প্রবণতাকে দায়ী করছেন পাইকার ও আড়ৎদাররা।

তারা বলেন, মুড়িকাটা পেঁয়াজের কৃষক এবার লোকসান গুনেছে। তাই কৃষকরা হালি পেঁয়াজ মজুত করছে। এতেই চড়েছে বাজার। ফলে বিপাকে পড়ছেন ভোক্তারা।

তবে আসলেই কি মজুত বাড়ছে? দেশের বৃহৎ পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল ফরিদপুর ও পাবনার কৃষক-ব্যবসায়ীরা বলছেন, স্বল্পমেয়াদি সংরক্ষণে ঝুঁকছেন অনেকেই। এতে চাপ পড়েছে বাজার সরবরাহে। বর্তমানে বাজারে যে দাম মিলছে, সেটি বজায় থাকলে কৃষক বাঁচবে।

কৃষি বিভাগ বলছে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩২ থেকে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। গত অর্থবছর ৩৬ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর ৩৮ লাখ ২১ হাজার টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এবার। কোনো রকম ফলন বিপর্যয় ছাড়াই কৃষকের ঘরেও উঠে গেছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ।

এ অবস্থায় পেঁয়াজ সংরক্ষণে কোন শঙ্কা দেখছেন না স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা। ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, কৃষকদের পেঁয়াজ সংরক্ষণের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে কিছুটা দাম বাড়লে কৃষক লাভবান হবে। পেঁয়াজ সংরক্ষণে কৃষকদের দেয়া হবে যন্ত্রপাতিও।

এদিকে, পেঁয়াজের বর্তমান খুচরা মূল্যকে যৌক্তিক বললেও, দাম বৃদ্ধি যেন লাগামহীন হয়ে না পড়ে সেদিকে নজরদারির পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়। এটি স্বাভাবিক পর্যায়েই রয়েছে। তবে দাম যেন এর থেকে বেশি না বাড়ে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

স্থানীয় পর্যায়ে সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকলে দিনশেষে পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটে পড়তে পারে বাজার, সেদিকে সজাগ থাকারও তাগিদ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। সময় সংবাদ