News update
  • Israel, Iran trade attacks; Trump threatens Tehran residents     |     
  • Israel issues, then drops air raid alert for Tel Aviv     |     
  • Penalty ends Palestinian WC hope; team leaves lasting impact     |     
  • Court imposes travel ban on Shakib, 24 others in graft case     |     
  • Rare folk treasures at risk in Kurigram’s Bhawaiya Museum     |     

দাম বাড়ল ডিম-মাংসের, সবজির বাজারও চড়া

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-05-16, 12:31pm

img_20250516_122625-1801c2c64838bad5dce81887eb6732031747377116.jpg




রাজধানীর বাজারে চড়া দামের সবজির সঙ্গে চলতি সপ্তাহে কিছুটা বেড়েছে প্রোটিনের উৎস হিসেবে পরিচিত ডিমের দাম। সেই সঙ্গে ব্রয়লার বাদে বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিমও। এদিকে, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে গরুর মাংসের দামও।

শুক্রবার (১৬ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, রামপুরা, সেগুনবাগিচা, মগবাজারসহ কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

সবজির বাজারে শুধু আলুর দাম মানভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। কোনা কোনো সবজির দাম শতকের কাছাকাছি উঠেছে। বাজারে ভালো মানের প্রতি কেজি বেগুনের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। ঢ্যাঁড়স ও পটোল বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি, যা সপ্তাহখানেক আগেও ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ছিল। ধুন্দল, বরবটি, চিচিঙ্গা, করলা মান ও বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি ছিল। এ ছাড়া কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি।

গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে বেড়েছে সোনালি, লাল লেয়ার ও দেশি মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে মুরগির সরবরাহ কমেছে। এতে বেড়েছে দাম। মুরগি বিক্রেতা স্বপন বলেন, গরমের কারণে খামারে প্রচুর মুরগি মারা যাচ্ছে। এতে মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। তবে আগের ১৭০-১৮০ টাকা দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার।

এ ছাড়া প্রতিকেজি দেশি মুরগি ৬৫০-৭০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় রয়েছে ডিমের বাজারও। প্রতি ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতি ডজন লাল ডিম ১৩০-১৪০ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ১৮০-২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে ডজন প্রতি আরও ৫-১০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, গরমে ডিম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে সরবরাহ কমায় দাম বাড়ছে।

এদিকে বাজারে খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকায় ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকায়।

তবে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির জন্য এখন খামারিরা গরু কম ছাড়ছেন। এতে সরবরাহ কমায় দাম সামান্য বেড়েছে।

সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা নূরে আলম বলেন, সবজির চড়া দামের কারণে অনেক মানুষই সবজি কেনার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। চেনা অনেক ক্রেতাই শুধু দামের কারণে আগে যা কিনত, তার অর্ধেক সবজি কেনে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের মাংস বিক্রেতা হামিদুল বলেন, কোরবানি প্রায় চলে এসেছে। কোরবানিতে বিক্রির জন্য খামারিরা গরু কম বিক্রি করছেন। এতে বাজারে সামান্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতিবছরই এ সময়টায় দাম সামান্য বেড়ে থাকে।

আরেক মাংস ব্যবসায়ী খালিদ বলেন, গরু কম পাওয়া যাচ্ছে। যাও মিলছে, সেটিও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এতে বাজারে দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে এটি সাময়িক, ঈদের পর দাম কমে যাবে।

এদিকে পুরোনো চালের দাম উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল থাকলেও বাজারে নতুন আসা মিনিকেট চাল তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। পুরোনো মিনিকেট চাল যেখানে সর্বনিম্ন ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে নতুন মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগেও এই চাল কিনতে ৭৮-৮২ টাকা লাগত।আরটিভি