News update
  • Over 41,000 Containers Stuck at Ctg Port Amid Strike     |     
  • WB Grants $270m Loan to Boost Bangladesh’s Recovery Plans     |     
  • Bangladesh's Per Capita Debt Rises Sharply to $483     |     
  • Yunus to Visit UK in June to Boost Bangladesh-UK Ties     |     
  • Over 100 cattle swept away by tidal surge in Munshiganj     |     

নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন, লাগবে না সার-ওষুধ!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2025-05-25, 3:40pm

img_20250525_153725-7226a2b5339459d16ef95869a82b9c911748166031.jpg




দেশে ধান উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে রাসায়নিক ও কীটনাশকমুক্ত ধান উদ্ভাবন করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)।

হাবিপ্রবির জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. খায়দেমুল ইসলাম বলেন, “বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল হকের নেতৃত্বে একটি গবেষণা দল রাসায়নিক ও কীটনাশকমুক্ত ধান উদ্ভাবনে সফল হয়েছে।”

অধ্যাপক ড. আজিজুল হক জানান, ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৯২, ব্রি-৩৪ এবং জিরাশাইলসহ মোট ৬টি জাতের উপর গবেষণা করে এই সাফল্য এসেছে।

গবেষক দল উদ্ভিজ্জ বীজাণু (এন্ডোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া) ব্যবহার করে রাসায়নিক ও কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে ধানের ফলন দ্বিগুণ করার জন্য কাজ করছে। এর আগেও তারা এই পদ্ধতিতে বেগুন ও টমেটো চাষে সাফল্য পেয়েছে।

গবেষকরা জানান, এই এন্ডোফাইটিক ব্যাকটেরিয়া ধানের শিকড়, কাণ্ড, ডাল ও পাতার বৃদ্ধি বাড়িয়ে অতিরিক্ত নাইট্রোজেন পরিবেশ থেকে সংগ্রহ করে। এর ফলে ইউরিয়া সারের ব্যবহার ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।

প্রচলিতভাবে ব্লাস্ট রোগের কারণে ব্রি-২৮ ও ব্রি-৩৪ জাতে ৪–৬ বার কীটনাশক দিতে হয়, যা পুষ্টিগুণ ও উৎপাদন কমায় এবং খরচ বাড়ায়। নতুন প্রযুক্তিতে প্রথম মাসে একবার বিষ প্রয়োগেই ফলন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি খড় আরও শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যসম্মত হয়েছে।

ড. আজিজুল জানান, তাদের লক্ষ্য ছিল ফলন বৃদ্ধি, রাসায়নিক নির্ভরতা কমানো ও ধানের গুণগত মান উন্নয়ন। এই প্রযুক্তিতে ধান দ্রুত পাকছে, যা হাওর অঞ্চলের জন্য খুবই উপযুক্ত। ব্যাকটেরিয়া উৎপাদনের সহজ প্রযুক্তিও উদ্ভাবন হয়েছে, যাতে কৃষকরা নিজেরাই কম খরচে তা তৈরি ও ব্যবহার করতে পারবেন। 

ড. আজিজুল হকের নেতৃত্বে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র তানভীর, শাহরিয়ার, মেহেদী ও রোকন এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেছে। এই গবেষণায় অর্থায়ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (আইআরটি)।

সম্প্রতি আইআরটি পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. হারুন-উর-রশিদ, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদার, সহযোগী গবেষক ড. ইয়াসিন প্রধান এবং অধ্যাপক ড. শাহ মঈনুর রহমান সরাসরি গবেষণা ক্ষেত্র পরিদর্শন করেছেন।

পরিদর্শনকালে পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. হারুন-উর-রশিদ বলেন, “আমরা মাঠে সরাসরি এসে খুবই সন্তুষ্ট হয়েছি। আশপাশের জমির তুলনায় যেখানে কৃষকরা ব্যাকটেরিয়া প্রয়োগ করেছেন, সেই জমির ফলন অনেক বেশি। আমরা কৃষকদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পেয়েছি। আগামী বছর আরও অনেক কৃষক এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধান চাষে আগ্রহী হবেন।”আরটিভি