লিজ ট্রাস ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। অর্থনৈতিক টানাপোড়েন এবং জ্বালানি বিল বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
জনসন আনুষ্ঠানিকভাবে স্কটল্যান্ডে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বালমোরাল এস্টেটে তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর রানী ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
৪৭ বছর বয়সী ট্রাস দেশটির নেতৃত্ব পাওয়া তৃতীয় নারী এবং ৬ বছরের মধ্যে ব্রিটেনের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে পরাজিত করে দলীয় ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ট্রাস।
বিজয় ঘোষণার পর ট্রাস একটি দলীয় সমাবেশে বলেছিলেন, “আমি রক্ষণশীল হিসেবে প্রচার করেছি এবং আমি রক্ষণশীল হিসেবে শাসন করবো।”
তিনি বলেছেন “আমি কর কমাতে এবং আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য একটি সাহসী পরিকল্পনা দেব,” “জনসাধারণের জ্বালানি বিলের সাথে মোকাবিলা করা, একইসাথে আমাদের জ্বালানি সরবরাহের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলোকে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।”
ট্রাস একসময় ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার বিরোধী ছিলেন কিন্তু এখন তিনি ব্রেক্সিটের কট্টর সমর্থক। তিনি বৈদেশিক নীতির প্রতি গোঁড়া দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। ধারণা করা হচ্ছে যে, জনসনের মতো তিনিও রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে ইউক্রেনকে সহায়তা পাঠানোর জন্য পশ্চিমা জোটের সাথে সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখবেন।
ট্রাস অবিলম্বে মন্দা, শ্রম অসন্তোষ, জ্বালানি বিল বৃদ্ধি এবং আসন্ন শীতকালে সম্ভাব্য জ্বালানি ঘাটতিসহ গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার সম্মুখীন হবেন। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।