
মাত্র তিন মাস দায়িত্ব পালন শেষে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দেশটির প্রতিনিধি পরিষদ (পার্লামেন্ট) ভেঙে দিয়েছেন। দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে রাজকীয় ডিক্রি জারির মাধ্যমে এই ঘোষণা দিলেন তিনি। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে শুরু হওয়া প্রাণঘাতী সংঘাতের মধ্যেই বেশ আগেভাগেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো থাই সরকারের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে রাজকীয় গেজেটে প্রকাশিত ডিক্রিতে বলা হয়, ‘একটি নতুন সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলো।’
গত সেপ্টেম্বরে রক্ষণশীল ভুমজাইথাই পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন আনুতিন চার্নভিরাকুল। এর আগে নিয়ম লঙ্ঘন করায় তার পূর্বসূরীকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করে থাইল্যান্ডের আদালত। ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী আনুতিন পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বিলোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যা দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের একটি আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ। তিনি ২০২৬ সালের প্রথমভাগে নির্বাচনেরও ঘোষণা দেন। তবে ধারণা করা হয়েছিল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন উৎসবের পর তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেবেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী আনুতিনের এই ঘোষণা এমন সময়ে এলো যখন কম্বোডিয়ার সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতে দেশটিতে ২০ জনেরও বেশি লোক নিহত এবং ছয় লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুলের কাছ থেকে সংগ্রহ করা রাষ্ট্রীয় গেজেটের উদ্ধৃতি দিয়ে এক ঘোষণায় বলা হয়, ‘প্রশাসন একটি সংখ্যালঘু সরকার হওয়ায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একাধিক চ্যালেঞ্জে জর্জরিত, তাই সরকার অবিচ্ছিন্নভাবে, দক্ষতার সঙ্গে এবং স্থিতিশীলভাবে রাষ্ট্রীয় কাজ পরিচালনা চালিয়ে যেতে পারছে না। সুতরাং, এর উপযুক্ত সমাধান হলো প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়া এবং একটি নতুন সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করা।’