News update
  • Reported massacre at hospital in Sudan’s El Fasher leaves 460 dead     |     
  • DSE to complete IPO process within 6 months: MD     |     
  • Prof Yunus asks for simplifying reform report for people     |     
  • Forces from inside-outside may work to thwart polls: Prof Yunus     |     
  • NCC for referendum, after July Charter order promulgation     |     

জলবায়ু কর্মসূচিতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন : পরিবেশমন্ত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জলবায়ু 2023-05-26, 11:07am

image-91625-1685030441-38fb6a817276fd66c0fc485dbfb67b1c1685077622.jpg




পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা, জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে অভিযোজন এবং প্রশমন উভয় কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিক জলবায়ু অর্থায়নের পাশাপাশি প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশ পরিবেশ, জলবায়ু ও জ্বালানি খাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে একসাথে কাজ করতে চায়।

 ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে আয়োজিত গ্লোবাল গ্রিন হাব কোরিয়া ২০২৩-এ ‘গ্রিন গ্রোথ ভিশন’ সেশনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শাহাব উদ্দিন আরো বলেন, পরিবেশ-বান্ধব সবুজ প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এবং বিশ্বকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ ও উন্নত বাসযোগ্য স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা কোরিয়ার সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, দেশে টেকসই উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কম কার্বন সবুজ উন্নয়নের পথ অনুসরণ করছে। আমরা শতকরা ১২ ভাগ জনসংখ্যার বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার জন্য অফ-গ্রিড এলাকায় ৬০ লাখের বেশি সোলার হোম সিস্টেম ইনস্টল করেছি এবং গ্রামীণ এলাকায় ৪৫ লাখেরও বেশি উন্নত রান্নার চুলা বিতরণ করেছি। পরিবেশ দূষণের ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশ পলুটারস পে প্রিন্সিপল (পিপিপি) ধারণা চালু করেছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু সহনশীল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এর জন্য বাংলাদেশের হালনাগাদ ন্যাশনাল ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (এনডিসি) এ নবায়নযোগ্য শক্তি এবং সবুজ হাইড্রোজেন শক্তি, বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রসার, শিল্পে শক্তি দক্ষতা বৃদ্ধি, গৃহস্থালি ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে শক্তি দক্ষতার প্রসার, বর্জ্য থেকে শক্তি এবং বর্জ্যপানি পরিশোধনের মতো অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শাহাব উদ্দিন বলেন, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় ২০২২-২০৪১-এর মধ্যে দেশের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানি নবায়নযোগ্য উৎস থেকে প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনার কৌশলগত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে সমন্বিত পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনার সাথে একটি সবুজ বৃদ্ধির কৌশল গ্রহণ করা। আমাদের সরকার টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সম্পদের টেকসই ব্যবহারের জন্য সার্কুলার ইকোনমি চালু করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। ভিশন ২০৪১ এ সবুজ ট্যাক্স ও কার্বণ মূল্য নির্ধারণকে একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে যা শুধু জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারকে নিরুৎসাহিত করে না বরং নবায়নযোগ্য শক্তিতে সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণ এবং ব্যক্তিগত বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। তথ্য সূত্র বাসস।