News update
  • Dhaka seeks global pressure on Myanmar for lasting peace     |     
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     

ঢাকা রক্ষায় এক হচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন

জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা

জলবায়ু 2024-05-12, 6:42pm

images-17-9696a6b9aa6c88bfc7b52f3935411d781715517801.jpeg




ঢাকা রক্ষায় এবার এক হচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন। ‘জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনা’ বাস্তবায়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

‘সবাই মিলে, সবার ঢাকা’ ‘সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা’ স্লোগানে ঢাকাকে টেকসই এবং স্থিতিস্থাপক শহর হিসেবে গড়ে তুলতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এর আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবিলা এবং পরিবেশের বিপর্যয় রোধে বৃক্ষরোপণ, বনায়ন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন দুই সিটি সংশ্লিষ্টরা।

রোববার (১২ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে জলবায়ু কর্ম পরিকল্পনার উদ্বোধন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র ও সি৪০ সিটিস-এর স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল, সি৪০ সিটিসের নির্বাহী পরিচালক মার্ক ওয়াটস।

অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বক্তব্য দেন সি৪০ বোর্ডের সভাপতি ও নিউইয়র্ক সিটির মেয়র সাদিক খান।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের গতিশীল শহরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যা দ্রুত নগরায়ন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং জলবায়ুজনিত চ্যালেঞ্জ পরিবেশ ও জীবনমানের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। এই সমস্যা সংস্কারে যৌথভাবে কাজ করবে ঢাকা দক্ষিণ এবং উত্তর সিটি করপোরেশন।

তাপস আরও বলেন, ডিএসসিসি শহরে পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক যানবাহন চালু করতে চায়। যদিও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মাথাপিছু কার্বন নির্গমন বিশ্বের তুলনায় অনেক কম। সামনের দিনে ঢাকা শহরকে আরও বাসযোগ্য, জলবায়ু সহনশীল এবং পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা হবে।

মেয়র তাপস আরও বলেন, শুধু কথা নয় বরং আমরা কাজ বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যে ক্লাইমেট অ্যাকশন প্ল্যান নেওয়া হয়েছে সেটি ঢাকা দক্ষিণ এবং উত্তর সিটি করপোরেশন একসঙ্গে বাস্তবায়ন করবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণ করে বাংলাদেশ। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দক্ষিণ অঞ্চলে লবণাক্ত পানি, খরা, বন্যার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এগুলো সব উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর জন্য হয়েছে। যে দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী তাদেরকে এই ক্লাইমেট ফান্ড দিতে হবে।

আরও সম্প্রসারিতভাবে একত্রিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, মানুষকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরাট প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সেজন্য ঢাকা থেকে যেহেতু কার্যক্রম শুরু করেছি, ভবিষ্যতে তা সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। মানুষকে সম্পৃক্ত করা সম্ভব না হলে যত ভালো পরিকল্পনাই গ্রহণ করি না কেন সেটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।