চলতি বছরের শেষ নাগাদ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় তিনি জাপানি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকেকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান।
সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা দেশ পুনর্গঠনে তার সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলেন। নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অর্থনীতিবিদ চান, বাংলাদেশ যেন স্থিতিশীল হয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে পরিস্থিতিতে আমরা দায়িত্ব নিয়েছি, সেই প্রেক্ষাপটে আমি মনে করি আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। কারণ, এটি ছিল একেবারে বিধ্বস্ত একটি সমাজ, ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি, বিপর্যস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা-সবকিছুই ভেঙে পড়েছিল।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হতে নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস জানান, নির্বাচন আয়োজনের সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় হতে পারে চলতি বছরের শেষ ভাগ।
ড. ইউনূস বলেন, যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন যে নতুন সরকার নির্বাচিত হবে তারা একটি স্থিতিশীল ও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর কাজ করার সুযোগ পাবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মনে করেন, বাংলাদেশের তরুণেরা আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গত বছরের আন্দোলনে তারা বড় ভূমিকা রেখেছিল। তিনি বলেন, তরুণেরা যা করতে চায়, তা হলো—তাদের সৃজনশীল শক্তির প্রকাশ এবং তা সারা বিশ্বের সঙ্গে শেয়ার করা। এটাই আমাদের স্বপ্ন এবং আমরা দেখব কীভাবে সেটি বাস্তবায়ন করা যায়।
ড. ইউনূস বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার জাপানের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ইউনূস বলেন, জাপানের প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাংলাদেশের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
এর আগে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে বলেন, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথম দিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। আরটিভি