News update
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     
  • Hadi’s condition very critical: Singapore Foreign Minister     |     
  • Asia-Pacific hunger eases, Gaza pipeline fixed, Europe hit by flu     |     

এমিরেটস এয়ারলাইন্সে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ, উদ্বেগ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পর্যটন 2025-07-13, 6:22am

431b007a2697dd8776dcf9d0b732fb7a9274766f5b59b5c0-050ccc2fd77cd575ad827f40f81159791752366133.jpg




বিশ্বখ্যাত এমিরেটস এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধ যাত্রীর হয়রানির অভিযোগ উঠেছে, যা যাত্রীসেবা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, হুইলচেয়ার সুবিধা না দিয়ে ৭১ বছর বয়সী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী লাইলা হুসেইন গত ১০ জুলাই এমিরেটসের ফ্লাইট EK587 (ঢাকা-দুবাই) ও EK205 (দুবাই-মিলান-নিউইয়র্ক)–এ ঢাকা থেকে নিউইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তার টিকিট নম্বর ছিল ১৭৬৭২১৬৪২৩৮৬৫। ঢাকা বিমানবন্দরে হুইলচেয়ার সেবা পেলেও দুবাই বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কোনো সহায়তা পাননি বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।

দুবাইয়ের গ্রাউন্ড স্টাফ তাকে ‘অল্প হাঁটতে’ বললেও, দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে পারি দিতে হয় লাইলা হুসেইনকে। ট্রানজিটের সময় অন্য টার্মিনালে ট্রেনে উঠতে হলেও কোনো সহায়তা দেয়া হয়নি।

এয়ারলাইন্সটির আরেক ফ্লাইট EK205-এর মিলান ট্রানজিটে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। যেখানে সাধারণত জেএফকে-গামী যাত্রীদের বিমান থেকে নামতে হয় না, সেখানে সবাইকে নামিয়ে আনা হয়— কোনো আসন ব্যবস্থা ছাড়াই। লাইলা হুসেইন বয়স ও শারীরিক কারণে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

বিমানটির অন্য যাত্রীরাও বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন, এমিরেটসের মতো একটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স কীভাবে এই বয়সী যাত্রীদের জন্য এমন উদাসীন আচরণ করতে পারে?

নিউইয়র্কে বসবাসরত লাইলা হুসেইনের মেয়ে ইশরাত জাহান দুবাইয়ের এমিরেটস কাস্টমার সার্ভিসে ফোন করে মায়ের জন্য সহায়তা চাইলেও প্রত্যাশিত সাড়া পাননি। একপর্যায়ে এক কাস্টমার সার্ভিস এজেন্ট তাকে জানান, তারা কিছু করতে পারবেন না কারণ যাত্রী এখন মিলানে আছেন এবং কেন এই ধরনের টিকিট কেনা হয়েছে, সেটাও বুঝতে পারছেন না।

ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে ইশরাত লিখেছেন, ‘উচ্চমূল্যের টিকিটের বিনিময়ে এমন সেবা প্রাপ্য নয়। এটা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বাজে ফ্লাইট অভিজ্ঞতা। কোনো জরুরি অবস্থাতেও আমরা আর কখনো এমিরেটস বেছে নেব না।

বিশেষ করে হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ও বয়স্ক যাত্রীদের ক্ষেত্রে এমিরেটসের যাত্রীসেবা নিয়ে আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে বলে জানা গেছে, তবে কার্যকর সমাধান হয়নি।

বাংলাদেশে এমিরেটসের যাত্রী অংশীদারিত্ব ২০ শতাংশেরও বেশি। অথচ, সেবার মান নিয়ে ক্রমাগত অভিযোগ আসছে। বিষয়টি নিয়ে বিমান সংশ্লিষ্ট মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

বিমান খাতের পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশে বড় পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনাকারী এমিরেটসের উচিত যাত্রী অধিকার, নিরাপত্তা এবং বিশেষত বয়স্ক যাত্রীদের মর্যাদা নিশ্চিত করা। এমন উদাহরণ যাত্রী অধিকার লঙ্ঘনের সামিল।