News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সম্পাদনে গ্যারান্টি ক্লজ অন্তর্ভূক্ত করুনঃ আইএফসি

পানি 2024-03-09, 6:15pm

prof-589868195d5f2f6b44f952d05d693ee81709986512.jpeg

Prof. Jasin Uddin Ahmad, briefing journalists on the position of IFC on renewal of the Ganges Treaty and signing of a treaty on the Ganges on Saturday.



শানিবার ৯ মার্চ আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি এক বিবৃতিতে গঙ্গা চুক্তি নবায়নে এবং তিস্তা চুক্তি সম্পাদনে গ্যারান্টি ও আরবিট্রেশন ক্লজ রাখার আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি)। আইএফসি বাংলাদেশের সভাপতি, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ সাংবাদিকদের সাথে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনাকালে এই দাবীর যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করেন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন আইএফসি বাংলাদেশের সহসভাপতি ডঃ নাজমা আহমাদ, সমন্বয়ক, মোস্তফা কামাল মজুলদার, লেখন ও গবেষক সিরাজুদ্দিন সাথী, ভাশানী পরিষদের তমিজুদ্দিন আবন্দ সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম আজাদ ও সদ্রুল হাসান।

আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি) শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে ঢাকা ও দিল্লীকে গ্যারান্টি ও আরবিট্রেশন ক্লজ সহ গঙ্গা পানি-চুক্তি নবায়ন এবং তিস্তা পানি-চুক্তি সম্পাদন করার আহবান জানিয়েছে। উভয় দেশের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি নদী বাঁচিয়ে রাখতে উৎস থেকে সাগর পর্যন্ত উহাদের প্রবাহ বজায় রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করারও আহবান জানায় আইএফসি। 

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ছাড়া উপমহাদেশের অন্যান্য দেশ – নেপাল ও পাকিস্তানের সাথে ভারতের স্বাক্ষরিত পানি-চুক্তিগুলিতে গ্যারান্টি ও আরবিট্রেশন ক্লজ রয়েছে। ফলে সিন্ধু ও মহাকালী পাণী-চুক্তিগুলি পারষ্পরিক স্বার্থ রক্ষা করতে সমর্থ হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সাথে স্বাক্ষরিত গঙ্গা পানি-চুক্তি শর্তপূরণ করেনি। এবং এই ত্রুটির জন্য বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের সম্পর্কের আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি।   

বাংলাদেশের সাথে পরামর্শক্রমে ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে মোট ৪১ দিনের জন্য গঙ্গার উপর নির্মিত ফারাক্কা বাঁধটি পরীক্ষা মূলকভাবে চালু করা হয়েছিল। কিন্ত তখন থেকে একতরফা পানি প্রত্যাহার চলতে থাকে এবং বাংলাদেশে দেখা দেয় পরিবেশগত বিপর্যয়। পরে ১৯৭৭ সালে পাঁচবছর মেয়াদি পানিবন্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় শতকরা ৮০ ভাগ পানি প্রাপ্তির গ্যারান্টি ক্লজ সহ। কিন্তু এই চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হবার পর নবায়ন না করে গ্যারান্টি ক্লজ বাদ দিয়ে ১৯৮২ সালে ৫ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়।   

গঙ্গার পানি বন্টনের জন্য ৩০ বছর মেয়াদি দ্বিতীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৬ সালে। এই চুক্তি ২০২৬ সালে তামাদি হয়ে যাবে। তাই এই চুক্তির নয়ায়ন ও তিস্তা পানি চুক্তি সম্পাদনের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডঃ হাসান মাহমুদ তার সাম্প্রতিক দিল্লী সফরের সময় তাগিদ দিয়েছেন। বাংলাদেশ গঙ্গা চুক্তির শর্ত অনুসারে পানি পায়নি। তা নিয়ে কার্যকর কোন পদক্ষেপও নিতে পারেনি। কারণ চুক্তিতে গ্যারান্টি ও আরবিট্রেশন ক্লজ ছিলনা। নবায়নের সময় চুক্তির এই দূর্বলতা অবশ্যই কাটিয়ে উঠতে হবে। 

তিস্তা নিয়ে চুক্তি হবার কথা ছিল ২০১১ সালে ভারতের প্রধান মন্ত্রী মন মোহন সিংহের বাংলাদেশ সফরের সময়। কিন্তু পশ্চিম বংগের মূখ্য মন্ত্রী মমতা বানার্জীর দোহাই দিয়ে আজ পর্যন্ত তা অসম্পন্ন রাখা হয়েছে। শুকনো মওসূমে তিস্তা নদীর কোন পানি বাংলাদেশকে দেয়া হয়না। পশ্চিম বঙ্গের গজল ডোবা বাঁধ চুইয়ে সামান্য কিছু পানি বাংলাদেশে আসে। বর্ষাকালে বন্যার পুরো পানি ছেড়ে দেয়ায় প্রতিবছর বাংলাদেশের তিস্তা অববাহিকায় ভয়াবহ বন্যা ও তীর ভাঙ্গনের ফলে হাজার হাজার বাড়ীঘর বিলীন হয় এবং ব্যাপক ফসল হানী ঘটে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের উৎস নদী থেকে। কাজেই নদীর অব্যাহত প্রবাহের সাথে বাংলাদেশের মানুষের বাঁচা মরার প্রশ্ন জড়িত। এখন তিস্তাসহ অন্যান্য যৌথ নদীতে বাঁধ নির্মান করে একতরফা পানি প্রত্যাহার আরো বেড়েছে। বাঁধ দিয়ে অপরিনামদর্শি স্বপ্ল মেয়াদী সুবিধা ভোগের জন্য নদীর গতি পরিবর্তন করে এই প্রাকৃতিক পানির উৎসগুলোকে মেরে ফেলা হচ্ছে। আমরা তার অবসান চাই।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন আইএফসি, নিউ ইয়র্ক-এর  মহাসচিব, সৈয়দ টিপু সুলতান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মাদ হোসেন খান, সাংগঠনিক সম্পাদল আতাউর রহমান আতা; আইএফসি বাংলাদেশের সভাপতি, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইরফানুল বারী এবং আইএফসি সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদার।