News update
  • UNRWA Report on the Humanitarian Crisis in Gaza & West Bank     |     
  • Rail link with Khulna cut off as train derails in Chuadanga     |     
  • 3 killed, 10 injured in Pabna Bus-truck collision     |     
  • UN Chief Appalled as Gaza Crisis Deepens, Aid Blocked     |     
  • Dhaka’s air quality ‘moderate’ also on Friday morning     |     

লিবিয়া থেকে আসা ১৭৬ বাংলাদেশি তুলে ধরলেন ভয়াবহ নির্যাতনের কথা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2025-03-13, 11:30am

rtrtre-fed82c0ff410656ece41749ca8c980f91741843823.jpg

লিবিয়া থেকে ঢাকার হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে এ প্রবাসীরা তুলে ধরছেন সেখানে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন কথা। ছবিটি ভিডিও থেকে নেয়া



অবৈধভাবে লিবিয়ায় গিয়ে ডিটেনশন সেন্টারে আটক বিপদগ্রস্ত ও পাচারের শিকার ১৭৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।

আইওএমের সহযোগিতায় বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ভোর সোয়া ৪টায় দেশে ফেরেন ১৭৬ বাংলাদেশি। ঢাকা হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন ও তদন্ত শেষে সকাল ৮টায় বের হন সবাই।

মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন সহ্য করে সাক্ষাৎ মৃত্যু থেকে বেঁচে প্রিয়জনের কাছে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বসিত ছিল সবাই। লিবিয়ায় বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারের আটকে থাকা বাকি বাংলাদেশিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার দাবি ভুক্তভোগীদের। পাশাপাশি দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ভুক্তভোগীর স্বজনদের।

রাত পেরিয়ে ভোর, ভোর পেরিয়ে সকাল বিমানবন্দরে আসা স্বজনদের অপেক্ষার চোখ ছিল কখন প্রিয়জনকে ফিরে পাওয়ার। এক বোন জানান, ভাইকে ফিরে পেয়েছি এটাই বড় কথা।  

কেউ বছর, কেউ আবার মাসের পর মাস অপেক্ষা শেষে প্রিয়জনকে ফিরে পেয়ে ভেঙে পড়েন কান্নায়। এ কান্না যেন আনন্দের তাদের। এরমধ্যে ১০৬ জন ছিলেন ত্রিপলীর তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে। তারা সময় সংবাদের কাছে তুলে ধরেছেন সেই ভয়াবহ নির্যাতনের কথা।

এক ভুক্তভোগী প্রবাসী বলেন, গত চার মাসের মধ্যে দুই বেলা ভাত খেতে পাইনি। ভাত দেইনি। শুধু মেরেছে। আরেকজন জানান, লিবিয়ায় যেন কেউ না যায়। সেখানে আমাকে মাফিয়া ধরেছিল, মোট ২৬ লাখ টাকা নিয়ে গেছে আমার। ৫ মাস ৯ দিন জেল খেটেছি। কথা বলতে কষ্ট হয় আমার।

ভুক্তভোগী আরেকজন জানান, ৫ মাস কাজ করেছি কিন্তু এক মাসের বেতন দিয়েছে। তাও আবার বাংলাদেশি টাকা ৩০ হাজার আর দেয়নি। খাওয়া দাওয়ার খুবই কষ্ট, বাইরে বের হলে আবার মাফিয়া ধরে। সবদিক থেকেই সমস্যা।

বাকি ৭০ জন বিপদগ্রস্ত অবস্থা থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন। এদের মধ্যে ১২জন শারীরিকভাবে অসুস্থ দেখা গেছে।

ডিটেনশন সেন্টারে থাকা বেশিরভাগই দালালের মাধ্যমে ইতালি পাড়ি জমানোর জন্য দেশ ছেড়েছিলেন। দালালদের এ সিন্ডিকেটের বিচার চান ভুক্তভোগীর স্বজনরা।

আগামী ১৯ ও ২৬ মার্চ আরও তিন শতাধিক বাংলাদেশিকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে লিবিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাস।