প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য পানির নিচে তলিয়ে থাকে দ্বীপটিতে প্রবেশের রাস্তা। ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় দ্বীপ হলো জেবুদো। হোয়াসংসি শহরের উপকূল থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত দ্বীপটি। এর এক দিকে পাহাড় অন্যদিকে সমুদ্র। এর অপরূপ সৌন্দর্যের জন্য পর্যটকরা ছুটে আসেন দ্বীপটিতে।
তবে এই দ্বীপে প্রবেশের কয়েক কিলোমিটারের রাস্তা প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য পানির নিচে তলিয়ে থাকে। দিনে দুইবার পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকে দ্বীপটিতে।
শুধু ভাটার সময় খুলে দেয়া হয় প্রবেশ পথ। সে রাস্তা ধরে হেঁটে বা গাড়িতে যাওয়া যায় দ্বীপটিতে।
যেখানে সাগরের নীল জলরাশি, পাখির কলরব আর চোখজুড়ানো সবুজ প্রান্তর মিলে তৈরি করেছে এক স্বর্গীয় দৃশ্য। এ সময় স্থনীয় পর্যটকরা উপভোগ করতে আসেন সমুদ্রের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য।
শূন্য দশমিক ৯৭২ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপটি আকারে ছোট হলেও বেশ কিছু কারণে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে জেবুদো দ্বীপ। পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দময় করতে দ্বীপটিতে রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থা। ক্যাবল কার ছাড়াও ছোট-বড় সবার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা রাইড।
শীত গেলেই সমুদ্রের তীরে মনোমুগ্ধকর সময় কাটাতে পরিবারসহ ঘুরতে আসেন স্থানীয় কোরীয়সহ বিদেশিরাও।
প্রকৃতির ভালোবাসার টানে দ্বীপটিতে ঘুরতে আসা এক কোরীয় বলেন, ‘প্রকৃতির স্বাদ উপভোগ করার অনেক কিছুই আছে দ্বীপটিতে। তাই চলে আসলাম দ্বীপটি দেখার জন্য। আমরা একটি গাড়ির ফ্যাক্টরিতে কাজ করি। ক্লান্তি দূর করার জন্য এক সাথে ৩০ জন বন্ধু ঘুরতে আসছি জেবুদো দ্বীপে। জেবুদো দেখতে সত্যি অসাধারণ।’
বিশাল সমুদ্রের ওপর দিয়ে মুক্তভাবে উড়ে বেড়ানো গাংচিল যেন স্বাধীনতার প্রতিচ্ছবি। বছর জুড়ে সামুদ্রিক পাখির কলরবে মুখর থাকে পুরো জেবুদো উপকূলীয় অঞ্চল।
অনেকেই সমুদ্রের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরতে চলে আসেন জেবুদোতে। মাছ ধরার পাশপাশি মনোরম পরিবেশে নিজের মতো করে সময় কাটান পর্যটকরা। সময়